ডলার সংকটে ব্যাংকগুলোর মতো মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার সহায়তা চেয়েছে। তবে রিজার্ভ থেকে এ মুহূর্তে মানিচেঞ্জারগুলোকে ডলার সহায়তা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম। গতকাল সাংবাদিকদের জানান, যেহেতু তারা বেশিরভাগ সময় খোলাবাজারে ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি
করে থাকে, তাই তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডলার সংগ্রহ করতে হবে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমরা ডলার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি, ভবিষ্যতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সরকারি পেমেন্ট বা বিভিন্ন প্রকল্পের আমদানি দায় মেটানোর জন্যই এই সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ডলার সংকট মোকাবিলায় এ মুহূর্তে মানি চেঞ্জারগুলোকে ডলার সহায়তা দেয়ার কথা ভাবছে না বাংলাদেশ ব্যাংক।
মুখপাত্র আরও বলেন, মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ৭৬২ কোটি ডলার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
তথ্যমতে, গত বৃহস্পতিবারও কয়েকটি ব্যাংকের কাছে সাত কোটি ৬০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের দুই মাস এক দিনে রিজার্ভ থেকে ২৫৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে ডলার বিক্রির চাপে গত রোববার দিন শেষে দেশের রিজার্ভ ৩৮ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। গত ১২ জুলাই আকুর প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। এরপর ২০ জুলাই পর্যন্ত রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৮০ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করে। জুলাইয়ের শেষে তা কমে ৩৯ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।