২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৯:৪৩
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৯:৪৩

আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশের কষ্টার্জিত জয়

তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ আরব আমিরাতকে হারাতেও ঘাম ঝড়াতো হলো টাইগারদের। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে কষ্টার্জিত জয় পেল বাংলাদেশ। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ৭ রানে হারাল নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন দলটি। 

এই জয়ে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। 

জয়ের জন্য শেষ ওভারে আরব আমিরাতের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১১ রান। হাতে ছিল ২ উইকেট। শরিফুইল ইসলামের করা ওভারের প্রথম দুই বলে ৩ রান আদায় করে নেন আরব আমিরাতের ব্যাটসম্যান জুনায়েদ সিদ্দিকী। পরের দুই বলে টপাটপ ২ উইকেট তুলে নিয়ে দলের জয়  নিশ্চিত করেন তরুণ পেসার শরিফুল। 

আগামী মাসে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলই নিজেদের প্রস্তুতি জোরদারে ব্যস্ত। 

বাংলাদেশ দলও বিশ্বকাপের আগে আরব আমিরাতে ক্যাম্প করে প্রস্তুতি জোরদার করতে চেয়েছিল; কিন্তু আরব আমিরাতের ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) প্রস্তাব দেয় সিরিজ খেলার। তাদের সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। 

রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ৭.১ ওভারে ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দলীয় ৭৭ রানে হারায় পঞ্চম উইকেট। 

দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন আফিফ হোসেন। এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের কল্যাণে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৫৫ বলে ৭টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন। ২২ বলে দুই চার আর দুই ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রান করেন সোহান।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ১৯.৪ ওভারে ১৫১ রানে অলআউট হয় আরব আমিরাত।  বাংলাদেশের জয়ে ৩টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। 

Facebook
Twitter
LinkedIn