শারদীয় দুর্গাপূজায় জঙ্গিদের যে নাশকতা নস্যাৎ করে দিতে র্যাবের কমান্ডো টিম ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বনানী পূজামণ্ডপ ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন র্যাব মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় জঙ্গি হামলার কোনো হুমকি নেই। তবে আমরা আত্মতৃপ্তিতে ভুগছি না। জঙ্গিদের যে কোনো নাশকতা নস্যাৎ করে দিতে র্যাবের কমান্ডো টিম ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে।
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য ডগ স্কোয়াডকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পূজামণ্ডপসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্যুইপিং পরিচালনার পাশাপাশি র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, র্যাব স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো টিম ও র্যাবের এয়ার উইংয়ের হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের দিন র্যাবের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন থাকবে।
গোয়েন্দা ও সাইবার তথ্য বিশ্লেষণ করে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার তথ্য পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারপরও আমরা আত্মতৃপ্তিতে ভুগছি না। জঙ্গিদের যে কোনো নাশকতা নস্যাৎ করে দিতে র্যাব প্রস্তুত।
হিন্দু সাম্প্রদায়িকের ওপর কোনোরূপ হামলা, পূজামণ্ডপ ভাঙচুর বা পূজার উপকরণাদি ভাঙা, ডাকাতি, চুরি ইত্যাদি সংগঠিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান র্যাব ডিজি।
তিনি আরও বলেন, ভার্চুয়াল জগতে যে কোনো গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম পর্যবেক্ষণ করছে।
র্যাব ডিজি জানান, দুর্গাপূজায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এসময় র্যাব মহাপরিচালক পূজামণ্ডপে উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গাপূজা উদযাপনের পরামর্শ দেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস্), অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন), অধিনায়ক র্যাব-১, পরিচালক (লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং), র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান এবং র্যাব সদরদপ্তরের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।