বৈশ্বিক দুর্যোগের কথা চিন্তা করে সরকার বর্তমানে খাদ্য রপ্তানিতে বেশি জোর দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এখন আর আশ্বিন-কার্তিক মাসে দেশে মঙ্গা হয় না, কৃষি গবেষকরা যে কষ্ট করেছেন তার সুফল পাচ্ছেন দেশবাসী। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে আরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা দেশ ও দেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবেসেছিলেন। শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু প্রথম যে ৫০০ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন তার ১০১ কোটি ছিল কৃষির জন্য। মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন চেয়েছিলেন সেজন্য পল্লী উন্নয়নে গুরুত্ব দেন জাতির পিতা। কৃষি শিক্ষা গবেষণায় গুরুত্ব দেন গড়ে তুলেন গবেষণা সংস্থা।
শেখ হাসিনা বলেন, আশ্বিন-কার্তিক মাস এলে এক সময় মঙ্গা হতো। আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সহায়তা নিয়ে ছুটে যেতাম। সে সময় সরকারে থাকা তাদের দিকে তাকিয়ে থাকিনি। আমরা সবসময় দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। তখন থেকেই ভাবতাম আমরা সরকারে গেলে কীভাবে খাদ্য উৎপাদন বাড়াব। আমরা সরকারে আসার পর বিনা জামানতে বর্গাচাষিরা যেন ঋণ পায় সে ব্যবস্থা করেছি, বীজ উৎপাদনে বিএডিসিকে পুনর্গঠন করেছি মান সম্মত বীজ উৎপাদন ব্যবস্থা করেছি। কৃষকের অর্থ যেন এদিক সেদিক না হয় এজন্য কৃষি কার্ড করেছি। আমাদের অনেক নদ-পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে।
মানুষ যেন সুষম খাদ্য গ্রহণ করে সে বিষয়ে আরও সচেতনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু খাদ্য নিরাপত্তাই করিনি, সুষম খাদ্যের কারণে মানুষের আয়ুস্কাল বৃদ্ধি পেয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে খাদ্য নিয়ে একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়। ‘কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়। ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন’ এই প্রতিপাদ্যে এবারের বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হয়।