টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দারুণ খেলছে বাংলাদেশ। ১৪৫ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে চেপে ধরেছে ডাচদের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তাসকিন আহমেদ প্রথম দুটি বলে শিকার করেছেন দুটি উইকেট। আর সাকিবের প্রথম ওভারেই পরপর দুটি দুর্দান্ত রান আউটে ব্যাকফুটে রয়েছে নেদারল্যান্ড।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান তুলেছে ডাচরা। কলিন অ্যাকরম্যান (২১) ও স্কট অ্যাডওয়ার্ড (৭) ক্রিজে আছেন। ১৩ ওভারে জয়ের জন্য ১০৯ রান দরকার।
দলীয় চতুর্থ ওভারে নিজে বল তুলে নেন দলনায়ক সাকিব। প্রথম বলেই ওভার বাউন্ডারি খেয়ে বসেন। পরের বল মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে দুটি রানের জন্য দৌঁড় দেন অ্যাকরেম্যান ও ডওড। আফিফ দুর্দান্ত ফিল্ডিং করে বল দেন সাকিবের হাতে। স্ট্যাম্প ভাঙতে দেরি করেননি সাকিব।
এরপরের বল ডট যায়। অ্যাকরেম্যান বল কাভার অঞ্চলে পাঠিয়ে দেন। নাজমুল হাসান শান্ত দারুণ ফিল্ডিং করে চার বাঁচিয়ে বল থ্রো করেন সোহানের কাছে। তিন রানের জন্য জায়গা বদল করতে চাচ্ছিলেন ব্যাটাররা। কিন্তু থ্রো এসে পৌঁছায় সোহানের হাতে। ব্যস, কোনো বল না খেলেই আউট হয়ে ফিরে যান টম কুপার।
এদিন আগে ব্যাটিং করে নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানে থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস। ১৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করছে ডাচরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বিক্রম সিং ফিরে যান ইয়াসিরের দুর্দান্ত ক্যাচে। এরপরের বলেই উইকেটের পেছনে সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্যাস লিডি। ওই ওভারে ৩ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তাসকিন।
আজ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো করলেও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় খুব বেশি রান করতে পারেনি সাকিব আল হাসানরা। তবে শেষ দিকে আফিফ আর মোসাদ্দেকের ওপর ভর করে প্রায় দেড়শ ছোঁয়া স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ।
আফিফ হোসেন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন ২৭ বলে। আর ২০ বলে ২৫ রান করেন ওপেনার নাজমুল হাসান শান্ত। এছাড়া শেষদিকে ১২ বলে ২০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক হোসেন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সৌম্য ও শান্ত বেশ ধীরে সুস্থে শুরু করেন। ৫ ওভারে ৪০ রানের জুটিও এনে দেন এ দুজন। কিন্তু সৌম্য (১৪) ফেরার পর যেন হঠাৎ মড়ক লাগে টাইগার শিবিরে। বিনা উইকেটে ৪০ রান থেকে স্কোরবোর্ডে ৬০ রানেই দেখা যায় ৪ উইকেট নেই।
একে একে ফিরে যান লিটন (৯) সাকিব (৭) ও ইয়াসির আলী (৩)। সোহানকে নিয়ে ইনিংস ছোট্ট করে মেরামত করেন আফিফ। ৩৪ রানের জুটি গড়ে সোহান ফিরে যান ১৩ রানে। তবে আফিফ ২৭ বলে ৩৮ রানের নান্দনিক একটি ইনিংস খেলেন।
শেষদিকে মোসাদ্দেক ১২ বলে ২০ রানের ছোট্ট ক্যামিও ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ১৪০ পার করান। ডাচদের হয়ে মিক্রিন ও লিডি ২টি করে উইকেট নেন। ক্লাসেন, প্রিঙ্গেল শেরিজ ও লোগান একটি করে উইকেট নেন।