২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ২:৩০
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ২:৩০

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ লঘুচাপে পরিণত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। গতরাতে ভোলা উপকূলে আঘাত হানার পর বাংলাদেশে ১৫ ঘন্টা অবস্থান করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। এখন তা শঙ্কামুক্ত।

৬ ঘন্টা পর ঘূর্ণিঝড়টি বিলীন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এরপর বৃষ্টিপাত কমে যাবে। আজ সন্ধ্যা ৬টার পর আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৯টায় আবহাওয়া অফিসের সবশেষ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়। এসময় আরো জানানো হয়, সিত্রাং আঘাত হানার সময় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে বরিশালে ৩২৪ মিলিমিটার এবং ঢাকায় ২৫৪ মিলিমিটার।

ঘূর্ণিঝড়টি লঘুচাপে পরিণত হওয়ায় দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। 

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ‘সিত্রাং’ অতিদ্রুত উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মধ্যরাতে উপকূল অতিক্রম করেছে। বৃষ্টি ঝরিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে লঘুচাপ আকারে ময়মনসিংহ এলাকায় অবস্থান করছে। 

এর আগে মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকালের মধ্যে ‌‘সিত্রাং’-এর মূল অংশের উপকূল অতিক্রম শুরু করার পূর্বাভাস দিলেও শেষের দিকে এটি গতি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছিল। তাই আগেভাগেই উপকূল অতিক্রম শুরু করে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা।

এদিকে মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত নামিতে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত নামিতে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।

অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

Facebook
Twitter
LinkedIn