বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বৃহস্পতিবার (২৭শে অক্টোবর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আনিসুল হক বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে এই আইন তোলা হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তিতে রয়েছেন। দণ্ড স্থগিত করে আগের দুই শর্ত বহাল রেখে তার মুক্তির মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়িয়ে গত ১৯শে সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়লো সরকার। পঞ্চম দফায় তার মুক্তির মেয়াদ শেষ হয় গত ২৪শে সেপ্টেম্বর।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগের মতো খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং এ সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না- এ দুটি শর্তে দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতেও তার সাজার রায় আসে। দেশে করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। শর্ত দেয়া হয়, তাকে দেশেই থাকতে হবে।
কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ফিরোজায় ওঠেন, এখন সেখানেই তিনি থাকছেন।