শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে জিম্বাবুয়েকে ৩ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ-১ এর পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। রোববার (৩০শে অক্টোবর) টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হাসান শান্তর অর্ধশতকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫০ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে ৮ উইকেটে ১৪৭ রান তুলতে সক্ষম হয়। এই জয়ে ৩ ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৪।
ব্রিসবেনের গাব্বায় বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিং করতে নামেন সৌম্য সরকার ও নাজমুল হাসান শান্ত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মুজারবানির শিকার হন সৌম্য। দুই বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
এরপর মাঠে আসেন লিটন দাস। শুরুটা ভালো করলেও ষষ্ঠ ওভারে অপ্রয়োজনীয় এক শটে ফেরেন সাজঘরে। আউট হওয়ার আগে করেন ১২ বলে ১৪ রান। পাওয়ার প্লে থেকে বাংলাদেশ করে ৩৩ রান।
দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া বাংলাদেশকে টেনে তোলেন সাকিব আল হাসান ও শান্ত। তৃতীয় উইকেটে এই দু’জন গড়েন ৫৪ রানের মূল্যবান এক জুটি। ১৩তম ওভারের শেষ বলে সাকিবকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন শেন উইলিয়ামস।
বাংলাদেশ অধিনায়ক ২০ বল মোকাবিলা করে ২৩ রান করেন। সাকিবের বিদায়ের পর হাত খুলে ব্যাট চালান শান্ত। চার-ছয়ে ফিফটির পর আউট হন ৫৫ বলে ৭১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে। ১৬ ওভার ২ বলে দলীয় রান তখন ১২২।
এরপর আফিফ হোসেন মেরে খেললেও মোসাদ্দেক একের পর এক বল মিস করায় বড় সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ। শেষ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশকে থামতে হয় ১৫৫ রানেই। আফিফ ১৯ বলে ২৯ ও মোসাদ্দেক ১০ বলে করেছেন ৭ রান।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ব্লেসিং মুজারবানি ২ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট ও রিচার্ড নাগরাভা ৪ ওভারে ২৪ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে প্রথম ওভারেই ধাক্কা দেন তাসকিন আহমেদ। তৃতীয় বলে ফেরান ৪ রান করা ওয়েসলি মাধভেরেকে। এরপর তৃতীয় ওভাওে বোলিংয়ে এসে এই বোলার ফেরান আরেক ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকেও।
দুই উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা জিম্বাবুয়েকে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে জোড়া ধাক্কা দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১৫ বলে ৮ রান করা মিল্টন সুম্বাকে সাকিবের ক্যাচ বানানোর পর একই ওভারে ফেরান ভয়ঙ্কও সিকান্দার রাজাকে।
এরপর জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেন শেন উইলিয়ামস ও রজিস চাকবা। পঞ্চম উইকেটে এই জুটি থেকে আসে ৩৪ রান। ১৩তম ওভাওে এসে এ জুটি ভাঙেন তাসকিন। তিনি ফেরান ১৯ বলে ১৫ রান করা চাকবাকে।
চাকবা ফিরলেও জিম্বাবুয়েকে ম্যাচে রাখেন শেন উইলিয়ামস। বায়ান বুর্লকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। ৩৭ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করার পর মারমুখি হয়ে উঠেন উইলিয়ামস। বুর্লেও সাথে মিলে ১৮তম ওভারে নেন ১৪ রান। তাতে শেষ ২ ওভাওে দরকার ছিল ২৬ রানের।
১৯তম ওভাওে বল করতে এসে উইলিয়ামসকে রানআউট করেন সাকিব। ৪২ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সাকিব ওই ওভাওে দেন ১০ রান। তাতে শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬ রানের। দুই উইকেট তুলে নিয়ে দলকে ৩ রানের জয় এনে দেন মোসাদ্দেক হোসেন।
তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ১৯ রানে নেন ৩ উইকেট। এয়াড়া মোস্তাফিজুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন নেন দুইটি করে উইকেট।