২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ২:৩০
২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ২:৩০

ইসির নিবন্ধন চায় ৮০টি নতুন দল

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে ৮০টি নতুন দল নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। গতকাল রবিবার আবেদন জমার শেষ দিনে ইসির যুগ্মসচিব (জনসংযোগ পরিচালক) এস এম আসাদুজ্জমান আরজু এই তথ্য জানিয়েছেন। বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেসও নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। একই সঙ্গে মুশকিল লীগ, নৈতিক সমাজ, বেকার সমাজ, নাকফুল, হিন্দুলীগ—এই ধরনের হরেক রকমের নামে রাজনৈতিক দলগুলো আবেদন করেছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইনে প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য আবেদন আহ্বান করার বিধান আছে। সে মোতাবেক গত ২৬ মে দলগুলোর কাছে আবেদন আহ্বান করে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় সংস্থাটি। পরবর্তী সময়ে অনেকের আবেদনের ভিত্তিতে আরো দুই মাস সময় বাড়ায় ইসি।

নতুন দলের নিবন্ধন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, হয়তো কালকে কমিশন সচিবালায় ফাইল তুলবে। এরপর তারা যাচাই-বাছাই করে দেখবে। তারপর আমাদের কাছে দেবে আমরা যদি কাগজপত্র দেখে মনে করি আরো যাচাই করতে হবে তাহলে সেটা করা হবে। আর যদি ১০০ ভাগ শর্ত পূরণ হয় নিবন্ধন পাবে। সব দলের জন্য সেই একই শর্ত।  কবে নাগাদ শেষ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বলা আছে মে মাসে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে। মে মাসের শেষে যারা নিবন্ধন পাবে তাদের দেওয়া হবে, আর যারা পাবে না তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে কোন শর্ত পূরণ না করার জন্য তাদের নিবন্ধন দেওয়া হলো না।

আগামী বছর ডিসেম্বরে অথবা জানুয়ারিতে দ্বাদশ ভোটের কর্মপরিকল্পনা করছে আউয়াল কমিশন। যার ফলে নিবন্ধন পেলেও দ্বাদশ ভোটের আগে ভোটারদের কাছে নিজেদের পরিচিত করতে সময় পাবেন সাত থেকে আট মাস। বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল  ৩৯টি।

সর্বশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে কে এম নুরুল হুদা কমিশনের কাছে ৭৬টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলেও কোনো দলকে  নিবন্ধন দেয়নি ইসি। আগ্রহী দলগুলো শর্তপূরণ করেছে বললেও যাচাই-বাছাইয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। অবশ্য ভোটের পরে আদালতের আদেশে নিবন্ধন পেয়েছে দুটি দল। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।

সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ড. এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন-২০০৮ সালে দেশে প্রথম বারের মতো দলগুলোকে নিবন্ধন দেয়। সেসময় ১১৭টি দল আবেদন করেছিল। যাচাই-বাছাইয়ের পর নিবন্ধন পায় ৩৯টি দল। সবমিলিয়ে গত ১৪ বছরে মোট ৪৪টি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। এর মধ্যে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ও আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিলও করা হয়। ফলে বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৩৯টি।

নিবন্ধনের জন্য ৮০ দলের আবেদন : নৈতিক সমাজ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি, মুসকিল লীগ, নতুন বাংলা, বঙ্গবন্ধু দুস্থ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলন (বিজিএম), বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি), বাংলাদেশ ইত্যাদি পার্টি, গ্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোট (পিডিএ), বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি)  বৈরাবরী পার্টি, বাংলাদেশ বিদেশ প্রত্যাগত প্রবাসী ও নন প্রবাসী কল্যাণ দল, বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ আম জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি মুভমেন্ট (বিডিএম) বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টি (বাংলাদেশ টিজেপি), এ বি পার্টি, সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম, বাংলাদেশ এলডিপি, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল গ্রীন পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ, গণ রাজনৈতিক জোট (গর্জো), বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), নতুন ধারা বাংলাদেশ এনডিবি, বাংলাদেশ হিন্দু লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় দল, জাতীয় জনতা পার্টি, কৃষক শ্রমিক পার্টি (কে,এস,পি), বাংলাদেশ তৃণমূল লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি),ভাসানী অনুসারী পরিষদ, নাকফুল বাংলাদেশ, মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ তৃণমূল কংগ্রেস, মুক্তিযোদ্ধা কমিউনিজম ডেমোক্রেটিক পার্টি, রাজনৈতিক আন্দোলন, বাংলাদেশ জনতার অধিকার পার্টি, বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি-বিএইচপি,  বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএনডিপি), জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী ন্যাপ), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ (বিজেএল),বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ, বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বাংলাদেশ সনাতন পাটি, বাংলাদেশ জনতা পার্টি (বিজেপি), জনতার অধিকার পার্টি (পি-আর পি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জনস্বার্থে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় ইনসাফ পার্টি, বাংলাদেশ মানবতাবাদী দল, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টি (বি. ইউ, আই পি),বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দল (বিডিপি),মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড গণ অধিকার পার্টি (পি আর পি) বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি, যুব সমাজ পার্টি, ন্যাপ (ভাসানী), সাধারণ জনতা পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ ইনভাইরোনমেন্ট গ্রিন পার্টি, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা কল্যাণ পরিষদ।

Facebook
Twitter
LinkedIn