ভারতের গুজরাটে ব্রিটিশ আমলের ঐতিহাসিক ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ১৪১ জনে। এ ঘটনায় আরও অনেকে গুরুতর আহত হওয়ায় নিহত বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। সোমবার (৩১ অক্টোবর) এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
গুজরাটের মৌরবি জেলার মচ্ছু নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতুটি সংস্কারের পর সম্প্রতি খুলে দেওয়া হয়। এর মধ্যেই রবিবার রাতে সেতুটি হঠাৎ ছিঁড়ে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে ১৭১ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। নিখোঁজদের সন্ধানে রাত থেকেই চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ব্রিজটির তার ছিঁড়ে নদীতে পড়ে যাওয়ার আগে প্রায় ৫০০ মানুষ ছিলেন। ব্রিজের নদীতে ছট পূজার প্রার্থনার জন্যও জড়ো হন অনেকে।
আহমেদাবাদ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ১৫০ বছরের পুরোনা ব্রিজটি পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল। দীপাবলির আগেও সংস্কারের কাজ হয়েছিল। প্রায় সাত মাস বন্ধ ছিল এটি।
এ ঘটনায় গুজরাটের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ব্রিজেশ মের্জা বলেন, এটি গত সপ্তাহে সংস্কার হয়েছিল। আমরা হতবাক। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। সরকার এই ট্র্যাজেডির জন্য দায়ী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটে তার সব ধরনের অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য দুই লাখ রুপি ও প্রত্যেক আহত ব্যক্তিকে ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া রাজ্য সরকারও নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে চার লাখ এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।