‘‘প্রশিক্ষিত যুব, উন্নত দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’’ এই প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে আজ পালিত হচ্ছে-জাতীয় যুবদিবস ২০২২ এর বিশেষ দিন। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দিনটিকে সামনে রেখে আয়োজন করছে বিভিন্ন কমসূচী।
বিশেষ অনুষ্ঠানসূচি ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৯ টা থেকে ১০ টা পঞ্চান্ন মিনিট পর্যন্ত বলতে গেলে- দেশের ‘যুব ও তারুন্যের হাঁট’ বসবে। যুব উন্নয়ন নিয়ে সারা বছর নানান কর্মসূচী উদযাপন করা সংগঠন, সংগঠক ও যুব সমাজ দিবসটি নিয়ে ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেরাও ব্যক্তিগত ভাবে যুবদিবসের শুভেচ্ছা বাণী প্রচার করেছেন। অনেকে সকালে এই বিশেষ দিবসের যুবসমাজের পদচারণেও মুখরিত হবে প্রাণকেন্দ্র ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশ। সরকারিভাবেও আয়োজিত হচ্ছে দিবসটি। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনও থাকবে সরব। অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ- তারুণ্যের এই মিলনমেলায় তরুণ প্রজন্মের প্রিয় অভিভাবক- “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা” প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভাচুয়ালি অংশ নিয়ে জাতীয় যুবদিবস ২০২২’ র শুভ উদ্ধোধন ঘোষণা করবেন।। সভাপতিত্ব করবেন; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। আরও উপস্থিত থাকছেন; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন।
সকাল থেকে ব্যানার, ফেস্টুন, সড়ক পদচারণের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম ও বিভিন্ন সংগঠন, সংগঠক এই অনুষ্ঠানে যোগদান করছে। খিলগাঁও যুব উন্নয়ন অধিদফতর’র মুখপাত্র তানিয়া নাসরিনও জানালেন; “দিবসটিকে ঘিরে কয়দিন থেকেই বিভিন্ন ফাউন্ডেশন, সংস্থাগুলোকে আমরা আমন্ত্রণপত্র দিয়েছি।” সম্প্রীতি ও সৌহাদ্য, আলোর পথ কল্যান সংস্থা, বৃক্ষালয় যুব উন্নয়ন সংস্থাসহ আরও বেশ কিছু সংগঠনের প্রতিনিধিরাও জানিয়েছেন; জাতীয় যুবদিবস নিয়ে নিজ নিজ সংগঠনের সদস্যবৃন্দকে সমৃকরণে উদ্ধুদ্ধ করতে । সবাইকে সকালের পদচারণ ও ওসমানী মিলনায়তনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান দেখারও আমন্ত্রণ জানাতে। দিবসটি ঘিরে এবার সবার ভেতরেই তারুণ্যের উজ্জীবন প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে। অতিথিবৃন্দের আসন গ্রহন, সচিব মহোদয় ও সভাপতির বক্তব্যের পর পূর্বে দিবসটির থীম সং ও যুব কাযক্রম নিয়ে ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হবে। দু’জন যুবকের পুরস্কার প্রাপ্তীর আবেগ ও অভিব্যক্তি নিয়ে নিয়ে থাকছে সংক্ষিপ্ত অনুভূতি প্রকাশ। সভাপতির বক্তব্যের পর জাতীয় যুব পুরস্কার ২০০২ বিতরণ।
এরপরই প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন- শেখ হাসিনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে থাকছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মারুফ আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি