লিটন দাসের দুর্দান্ত শুরুর পর হৃদয় বিদারক সমাপ্তি। অবশ্য ভারতের বিপক্ষে কেন যেন এমনটাই হয়ে থাকে। চাপের মুখে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন টাইগাররা। সেমিফাইনালের উজ্জ্বল সম্ভাবনাটাও তাই এখন নির্ভর করছে অনেক যদি-কিন্তুর ওপর।
শেষ চারে নাম লেখাতে হলে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের দিকে। আপাতত ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে ভারত, দুইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাল হারতেই হবে পাকিস্তানের কাছে। তবেই বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার জট খুলবে। শুধু পাকিস্তান নয় প্রোটিয়াদের হারাতে এগিয়ে আসতে হবে নেদারল্যান্ডসকেও।
দক্ষিণ আফ্রিকা পরের দুই ম্যাচ জিতলে তবুও সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে ভারতকে বড় ব্যবধানে হারতে হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এবং টাইগারদেরও পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততে হবে বিশাল অঙ্কে। কেননা রানরেটে ভারতের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে বাংলাদেশ। শুধু ভারত নয় গ্রুপের ভেতর সবচেয়ে খারাপ রানরেট সাকিবের দলের।
তবে সেমিফাইনাল খেলার ভাবনা আছে বলে মনে হয় না। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগেই সাকিব বলেছিলেন, আমরা বিশ্বকাপ জিততে আসিনি। ম্যাচ শেষেও তার মুখে একই সুর, ‘এই বিশ্বকাপে ক্রিকেট নিয়ে আমরা বেশি কথা বলিনি এবং খুবই রিলাক্সে ছিলাম। আমরা ইতিবাচক। বিশ্বকাপটা উপভোগ করতেই এসেছি। আশা করি, সেটা বজায় রাখতে পারব। আমাদের আরো একটি ম্যাচ আছে এবং আমরা সেদিকেই মনোনিবেশ করতে চাই।’
আগামী ৬ নভেম্বর এই অ্যাডিলেড ওভালেই পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচটি খেলবে বাংলাদেশ।