কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম অঘটনগুলোর একটি সৌদি আরবের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ২-১ গোলের ব্যবধানে পরাজয়। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুরুতেই ৯ মিনিটে ফ্রান্সের গোল খাওয়া আরেকটি অঘটনের আভাস দিচ্ছিল। কিন্তু কিসের কি! ফ্রান্স যে বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট তা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিল তারা।
সকারুদের ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করলো দিদিয়ের দেশমের দল। ফ্রান্সের হয়ে জোড়া গোল করেন জিরু; আর ১টি করে গোল করেন এমবাপ্পে ও রাবিও। অন্যদিকে সকারুদের পক্ষে গোল করেন গুডউইন।
আজকের দিনের চতুর্থ ম্যাচে আল জানুইব স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় অজিরা। ম্যাথিউ লেকিরর করা অ্যাসিস্টে ফরাসি শিবিরে বল জড়ান ক্রেইগ গুডুইন। পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে পড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় নি গ্রিজম্যানদের। প্রথমার্ধের ২৭ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান আদ্রিয়ান রাবিউত। এর পাঁচ মিনিট পরই অলিভিয়ে জিরুদের গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। প্রথমার্ধে আর কোন গোল না করতে পারলে ২-১ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় কিলিয়ান এমবাপের দল।
দ্বিতীয়ার্ধে যেন আরো জ্বলে উঠে ফরাসিরা। একের পর এক আক্রমণে সকারুজদের চাপে রাখে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৬৮ মিনিটে আবারও অজিদের জালে বল জড়ায় ফ্রান্স। এবার স্কোর লাইনে পিএসজি তারকা এমবাপে। প্রথমার্ধের মতো আবারও ক্ষণিকের জোড়া গোল।
৭১তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করে বড় জয়ের মঞ্চ তৈরি করে দেসমের দল। শেষ দিকে আর গোল না হলে ৪-১ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।