আজ বৃহস্পতিবার যশোরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে যশোর স্টেডিয়ামের জনসভায় তিনি ভাষণ দেবেন। এই জনসভাকে কেন্দ্র করে যশোরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে শহরকে। আওয়ামী লীগ নেতারা আশা করছেন যশোরে এবারের জনসভায় ১০ লাখ মানুষ সমবেত হবেন। গোটা শহর জুড়ে মানুষ অবস্থান করে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনবেন।
জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দিতে দিনরাত কাজ করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তৃণমূল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর আগমন বার্তা পৌঁছে দিতে তৎপরতা চালানো হয়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত করা হয়েছে মাইকিং। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুসজ্জিতভাবে নেতাকর্মীরা এ সমাবেশে অংশ নেবেন।
জনসভাকে ঘিরে পুরো যশোরকে ব্যাপক নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে ফেলেছে পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে দেশের সকল সংস্থার সদস্যরা। যশোর স্টেডিয়ামের মূল মঞ্চ ঘিরে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে পুরো যশোর জেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
করোনার কারণে প্রধানমন্ত্রী প্রায় তিন বছর পর এই প্রথম ঢাকার বাইরে কোনো জনসভায় অংশ নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার ও ব্যানানের পাশাপাশি রঙিন খিলান ও তোরণ দিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক সজ্জিত করা হয়েছে। নেতারা প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানাতে দাড়াটানা মোড়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, গারিবশাহ্ রোড ও অন্যান্য এলাকা ব্যানার, বেলুন, ফেস্টুন ও পোস্টার দিয়ে সজ্জিত করেছে।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি বলেন, খুলনা বিভাগের দশ জেলার দশ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে আজকের এই জনসভায়। গোটা শহরে পা রাখার জায়গা পাওয়া যাবে না। জননেত্রীর জনসভা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে ৪০০ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সমাবেশস্থল ও জনসভায় আগতদের সহযোগিতা করতে শহরের প্রবেশমুখে থাকবেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা ঘিরে যশোরের নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, বণিতাদের মধ্যে যে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ভোরেই স্টেডিয়াম মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। আমরা আশা করছি, পুরো যশোর শহর সমাবেশস্থলের রূপ নেবে। যশোর অঞ্চলের ১০ লক্ষাধিক মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে ও তার কথা শুনতে সমাবেশে আসছেন।’
তিনি বলেন, ‘জঙ্গিরা এখনও তৎপর রয়েছে। আদালত থেকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সবকিছু মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনেক কিছুই করা হয়েছে।’
যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘যশোর স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের জনসভা স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ হবে। এ সমাবেশে আসতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মুখিয়ে আছেন। বিএনপি-জামায়াতের আগামীদিনের তাণ্ডব রুখতে এ সমাবেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ শপথ নিয়ে ঘরে ফিরবেন।’
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মহাসমাবেশ হচ্ছে যশোরে। এটি জনসমুদ্রে পরিণত হবে। মূল স্পট যশোর স্টেডিয়াম হলেও গোটা যশোর হবে লোকে লোকারণ্য। সাধারণ মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশে যোগ দিতে পারে তার সব বন্দোবস্ত করে নেওয়া হয়েছে।’