২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১২:৪৯
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১২:৪৯

রিজার্ভ আরও কমে সাত বছরে সর্বনিম্ন

চলতি অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানি আয় কমায় বাজারে ডলার সংকট তৈরি হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪.২১ বিলিয়ন ডলারে, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ২৫ বিলিয়ন ডলার।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী দেশের নিট রিজার্ভের পরিমাণ ২৫.৮১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ৮.৪০ বিলিয়ন ডলার কম হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে আরও সাত কোটি ১০ লাখ ডলার সরবরাহ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই নিয়ে চলতি মাসের ২১ দিনে মোট ৯৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি বিক্রি করেছে।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বিক্রির পরিমাণ ৫৫৬ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে রেকর্ড ৭৬২ কোটি ১৭ লাখ ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তার আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেখানে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কিনেছিল প্রায় ৭৯৩ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে প্রতি মাসে আমদানির জন্য ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করছে সরকার। এখন যে পরিমাণ রিজার্ভ আছে তা দিয়ে সাড়ে তিন মাসের আমদানি দায় পরিশোধ করা যাবে। যদিও রিজার্ভ সব সময় সব আমদানির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় না। আর সরকারিভাবে অতি প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এদিকে ডলার সংকটের কারণে আমদানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন পণ্যের এলসি খুলতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আর বৈদেশিক বাণিজ্যে পাওনা পরিশোধেও ব্যর্থ হচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান।

Facebook
Twitter
LinkedIn