ক্রিকেটের সবচেয়ে দ্রুতগতির ফরম্যাট টি-টেন। বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ১২ দিন, ৮ ফ্র্যাঞ্চাইজি ও ৩৩ ম্যাচের আবুধাবি টে-টেন লিগ। ২৩ নভেম্বর শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে ৪ ডিসেম্বর।
এবারের আসরে ডোয়াইন ব্রাভো, অ্যালেক্স হেলস, সুরেশ রায়না, ডেভিড মিলার, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, ইয়ন মরগানের মতো তারকারা মাঠ মাতাবেন। টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচই হবে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে।
৯০ মিনিটের আশেপাশে শেষ হওয়া টি-টেন ম্যাচগুলো দর্শকদের জন্যও হয়ে থাকে বেশ উপভোগ্য। প্রায় প্রতি বলেই দেখা যায় বাউন্ডারি কিংবা উইকেটের দেখা। এবারের আসরে দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার এই কাজ করবেন ১৪০জন ক্রিকেটার।
এবার দলের সংখ্যাও বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি এসএএমপি আর্মি ও নিউ ইয়র্ক স্ট্রাইকার্স খেলবে। এর সঙ্গে পুরোনো বাংলা টাইগার্স, ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর, দিল্লি বুলস, নর্দান ওয়ারিয়র, টিম আবুধাবি ও চেন্নাই ব্রেভার্স তো আছেই।
টুর্নামেন্টের প্রথমদিনে মাঠে নামছেন বাংলাদেশি তারকা সাকিব আল হাসান, বাংলা টাইগার্সের অধিনায়ক তিনি। তার দল উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে কাইরন পোলার্ডের নিউ ইয়র্ক স্ট্রাইকার্সের। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর্সের সঙ্গে টিম আবুধাবি মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশে টি-স্পোর্টসে দেখা যাবে ম্যাচগুলো।
টি-টেন স্পোর্টস ম্যানেজম্যান্টের চেয়ারম্যান শাজি উল মুলক বলেছেন, ‘আমরা রোমাঞ্চিত যে ষষ্ঠ মৌসুমে আবুধাবি টি-টেন পাঁচটি মহাদেশ জুড়ে এত বেশি লোকের বাড়িতে এবং স্ক্রিনে পৌঁছে যাবে। আরও ভক্তদের স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষা করছি। আবুধাবি টি-টেনের জনপ্রিয়তা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। আমরা আমাদের সকল অনুরাগী এবং অনুগামীদের এই বছর আরও বেশি আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
‘ক্রিকেট পরিবার সত্যিই টি-টেন ফর্ম্যাটকে ভালোবেসেছে। পূর্ণ সদস্য বোর্ড এটার সঙ্গে যোগ দিয়েছে। আবুধাবিসহ, শ্রীলঙ্কা জিম্বাবুয়ের টুর্নামেন্ট, আমরা ২০২৪ সালে সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচটি প্রতিযোগিতার দিকে নজর দিচ্ছি। কারণ টি-টেন বিশ্ব মঞ্চে তার ছাপ রাখছে।’
আবুধাবি টি-টেনের সিওও রাজীব খান্না বলেছেন, ‘কোভিড বিধিনিষেধের বাইরে, আবুধাবি টি-টেনের ষষ্ঠ মৌসুমে মাঠে বিস্ফোরক পারফর্ম্যান্সের সাথে ভক্তদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। আমরা আশা করি ভক্তদের স্টেডিয়ামে অভিজ্ঞতা দিতে পারব আর ক্রিকেটাররা সেরা ফর্মে আছে, যা একটি রোমাঞ্চকর ও সফল মৌসুমের সৃষ্টি করবে।’
স্কোয়াড :
বাংলা টাইগার্স: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), এভিন লুইস, কলিন মুনরো, হজরতুল্লাহ জাজাই, জো ক্লার্ক, বেনি হাওয়েল, বেন কাটিং, মোহাম্মদ আমির, মাথিশা পাথিরানা, নুরুল হাসান, জ্যাকব লিন্টট, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, রোহান মুস্তাফা, চিরাগ সুরি, উমাইর রহমান। আলী, ইয়াসির কলিম, এস শ্রীসান্থ, ইফতিখার আহমেদ, লুইস গ্রেগরি, জ্যাক বল, আফতাব চৌধুরী (প্রধান কোচ), কাজী আরাফাত (বোলিং কোচ), তাতেন্দা তাইবু (সহকারী কোচ), কুনাল মানেক (টিম বিশ্লেষক), মুহাম্মদ ইউসুফ (লজিস্টিক ম্যানেজ) ), শুভাশিস কর্মকার (ফিজিওথেরাপিস্ট), অরুণকুমার শশী (ম্যাসেজ থেরাপিস্ট), মুহাম্মদ নাঈম (লিয়াজন অফিসার)।
ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর্স: নিকোলাস পুরান (সি), আন্দ্রে রাসেল, ডেভিড উইজ, তাবরেজ শামসি, টম কোহলার-ক্যাডমোর, লুক উড, ওডেন স্মিথ, জশ লিটল, উইল স্মিড, জহির পাকটেন, জহুর খান, আদিল মালিক, সুলতান আহমেদ, সুরেশ রায়না, জেসন রয়, টমাস হেলম, মুশতাক আহমেদ (প্রধান কোচ), সৈয়দ হাশমি (টিম ম্যানেজার), প্রসন্ন আগরাম (বিশ্লেষক), ইবরার আহমেদ (স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ), দীপক সুরি (ফিজিওথেরাপিস্ট), রোহিত কাম্বলে (ম্যাসেজ থেরাপিস্ট), হিতেশ পারেখ (সহকারী টিম ম্যানেজার)।
দিল্লি বুলস: ডোয়াইন ব্রাভো (অধিনায়ক), টিম ডেভিড, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, রাইলি রোসো, খুশদিল শাহ, রাখিম কর্নওয়াল, টম ব্যান্টন, ডম ড্রেকস, রিচার্ড গ্লিসন, কিমো পল, মিচেল স্ট্যানলি, শেরাজ আহমেদ, কারনাল জাহিদ, অয়ন খান, আসিফ খান , হরভজন সিং, ওয়াকাস মাকসুদ, সৈয়দ ইমাদ ওয়াসিম হায়দার, জর্ডান কক্স, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার (প্রধান কোচ), মুহম্মদ মুনির (টিম ম্যানেজার), জন গ্লস্টার (ফিজিওথেরাপিস্ট), আজমল শাহজাদ (বোলিং কোচ), রিচার্ড হ্যালসল (সহকারী কোচ), স্টিভ মুলানি (সহকারী কোচ), সঞ্জীব সান্ধু (মেন্টাল কন্ডিশনিং কোচ), সৌরভ ওয়াকার (বিশ্লেষক), মোহাম্মদ আফরোজ (ম্যাসিউর), ইসমাইল পুরাইল (লিয়াজন অফিসার)।
মরিসভিল এসএএমপি আর্মি: মঈন আলী (সি), ডেভিড মিলার, শিমরন হেটমায়ার, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, জনসন চার্লস, অ্যানরিচ নর্টজে, চামিকা করুনারত্নে, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, জর্জ গার্টন, অ্যান্ড্রিস গাউস, আব্রাহাম পিনার, বাস্তিয়ান ডি লিড, আহমেদ রাজা, কাশিফ দাউদ , বাসিল প্যারাপিল, রাজা খান, শেলডন কটরেল, করিম জানাত, ল্যান্স ক্লুসেনার (প্রধান কোচ), ট্রেভর পেনি (সহকারী কোচ), জেমস ফস্টার (সহকারী কোচ), বিক্রম হস্তির (টিম ম্যানেজার), মধুকর শ্রী (লজিস্টিকস অ্যান্ড অপারেশন ম্যানেজার), ধানসেকর দিল্লি (বিশ্লেষক), ব্রেট এডওয়ার্ডস (ফিজিওথেরাপিস্ট), চন্দ্র মঞ্চেকার (ম্যাসেজ থেরাপিস্ট)।
নিউইয়র্ক স্ট্রাইকার: কাইরন পোলার্ড (অধিনায়ক), ইয়ন মরগান, আজম খান, পল স্টার্লিং, আন্দ্রে ফ্লেচার, রোমারিও শেফার্ড, ওয়াহাব রিয়াজ, জর্ডান থম্পসন, কেসরিক উইলিয়ামস, ইজহারুল হক নাভিদ, টম হার্টলি, মুহাম্মদ ওয়াসিম, নভ পাবরেজা, মুহাম্মদ ফারুক, মাতিউল্লাহ খান, স্টুয়ার্ট বিনি, আকিল হোসেইন, রবি রামপল, কার্ল ক্রো (প্রধান কোচ), জোহানেস মরকেল (সহকারী কোচ), গ্লেন চ্যাপল (বোলিং কোচ), কলিন বোর্দে (ম্যানেজার), গৌরব শর্মা (ফিজিওথেরাপিস্ট), শ্রীকান্ত রামচন্দ্রন (বিশ্লেষক), আজহারউদ্দিন কোরেশি (শক্তি ও কন্ডিশনিং কোচ), কেলি ও’জে শঙ্কর (ম্যাসেজ থেরাপিস্ট)।
নর্দান ওয়ারিয়র্স: রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা, শেরফেন রাদারফোর্ড, অ্যাডাম লিথ, ইসুরু উদানা, কেনার লুইস, ওয়।