২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ২:৩১
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ২:৩১

সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে ব্রাজিল

কাতার বিশ্বকাপের নবম দিনের তৃতীয় ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে ব্রাজিল। ‘জি’ গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নেইমার জুনিয়রকে ছাড়া মাঠে নেমেছিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধের শুরু থেকেই পিএসজি তারকার অভাব টের পায় সেলেসাও সমর্থকরা। একাধিক সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেন নি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৮৩ মিনিটে ক্যাসিমিরোর গোলে সুইসদের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে তিতের দল। এই জয়ে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর টিকিট পেয়েছে ব্রাজিল।

আজ সুইসদের বিপক্ষে ম্যাচে নেইমারের অভাবটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে ব্রাজিল সমার্থকরা। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা সুইসদের বিপক্ষে আধিপ্ত বিস্তার করে খেললেও গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ম্যাচের ৮৩ মিনিট পর্যন্ত।

স্টেডিয়াম-৯৭৪ এ ৪-৩-৩ ফর্মেশনে খেলতে নামা ব্রাজিল শুরুর ১০ মিনিট খেলছে অগোছালো ফুটবল। তবে ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণ করতে থাকে রিচার্লিসন-রাফিনিয়ারা। ম্যাচের শুরুতেই পায় ফ্রি-কিক। ডি-বক্সের ভিতর দারুণ ক্রস পেলেও জায়গামতো কেউ না থাকায় বলে পা লাগাতে পারেনি তিতের শিষ্যরা।

এদিকে ম্যাচের ২৭ মিনিটে রিচার্লিসনরা পায় দারুণ সুযোগ। বাঁ প্রান্ত থেকে পাকুয়েতা বল ফেলেন ডি-বক্সে। রিচার্লিসন পা লাগালেও ক্লিয়ার করে সুইস ডিফেন্ডার। 

অপরদিকে ৩৮ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ডান প্রান্ত দিয়ে ব্রাজিলের ডিবক্সে ঢুকে পড়ে সুইজারল্যান্ড। তবে রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় সেই বিপদমুক্ত হয় ব্রাজিল। তার মিনিট কয়েক পর বাঁ প্রান্ত থেকে দারুণ ক্রস করেন রাফিনিয়া। কিন্তু গোলরক্ষকে একা পেয়েও গায়ে বল মারেন ভিনিসিউস।

প্রথমার্ধের শেষের দিকে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে রাফিনিয়া-ভিনিসিউসরা। কিন্তু সুইস গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল।

তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে ব্রাজিলের গোল লক্ষ্য করে মাত্র একটি শট নিতে পেরেছে সুইজারল্যান্ড। যা ২০১০ সালে স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচের পর বিশ্বকাপ ম্যাচে তাদের সর্বনিম্ন। 

বিরতিতে থেকে এসে দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে অল্পের জন্য গোলবঞ্চিত হয় সুইজারল্যান্ড। ডানপ্রান্ত দিয়ে ডি-বক্সে বিপজ্জনক বল ফেলেন সুইজারল্যান্ডের এক খেলোয়াড়। গোললাইনের ঠিক সামনে থেকে বল ক্লিয়ার করেন থিয়াগো সিলভা।

এছাড়া ৫৬ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ মিস করেন রিচার্লিসন। বাঁ প্রান্ত থেকে ভিনিসিউসের দুর্দান্ত ক্রসে পা লাগালেই আসরে তৃতীয় গোল পেতে পারতেন তিনি। তবে পা লাগাতেই পারেননি এই স্ট্রাইকার। ৫৮ মিনিটে ফ্রেডকে তুলে ব্রুনো গুইমিরেসকে নামান তিতে। দুটো পরিবর্তন করেন সুইজারল্যান্ডের কোচও।

পরিবর্তন করে খেলতে নেমে টানা দুই মিনিট ব্রাজিলের রক্ষণের ওপর ঝড় বইয়ে দেয় সুইজারল্যান্ড। তবে তাদের আক্রমণগুলো প্রতিহত হয় ব্রাজিলের রক্ষণদূর্গে।

৬৮ মিনিটে নিজেদের অর্ধে বল পেয়ে কাউন্টার অ্যাটাক ওঠে ব্রাজিল। দারুণ এক গোল করে উল্লাসে মাতেন ভিনিসিউস জুনিয়র। কিন্তু ভিএআর চেক করে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করেন রেফারি।

ম্যাচে ফিরতে ৭২ মিনিটে রিচার্লিসনকে তুলে গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে নামান তিতে। ম্যাচের শেষ দিকে এসে দুদলই সাবধানী ফুটবল খেলতে থাকে। রক্ষণ সামলে আক্রমণে যায় দুই দলই। ৮০ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় ব্রাজিল। তবে রক্ষণদেয়ালে লেগে ফিরে আসে বল। ফিরতি বলে হেড করলেও সরাসরি তা চলে যায় ইয়ান সোমারের হাতে।

একের পর এক আক্রমণ করেও ব্যর্থ ব্রাজিল যখন সুইসদের বিপক্ষে আরেকবার ড্রয়ের শঙ্কায় তখনই নায়ক হতে দৃশ্যপটে ক্যাসেমিরো। ৮৩ মিনিটে ভিনিসিউসের ইনসাইড পাসে ফ্লিক করেন রদ্রিগো। বল একবার ড্রপ খেয়ে চলে আসে ক্যাসেমিরোর সামনে। হাফ ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দিয়ে ব্রাজিলকে উল্লাসে মাতান তিনি।

গোল খেয়ে শোধ করতে বেশ কিছু আক্রমণ তৈরি করেছিল সুইজারল্যান্ড। তবে ব্রাজিলিয়ান রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় গোল পাওয়া হয়নি তাদের। ৯০ মিনিট খেলায় আর গোলের দেখা না হলে ১-০ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিচার্লিসন-রাফিনিয়ারা।

Facebook
Twitter
LinkedIn