সরকারিভাবে আজ থেকে আবারো মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে। সকালে ৩০ জন কর্মী নিয়ে কুয়ালালমপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে গেছে বেসরকারি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। তাদের বিদায় জানাতে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এসময় তাঁরা জানান, মালয়েশিয়ায় এক হাজার কর্মীর চাহিদা থাকলেও প্রাথমিকভাবে যাবে ৯০ জন।
বাংলাদেশের অন্যতম বড় শ্রমবাজার ‘মালয়েশিয়া’। চার বছর আগে দেশটি কর্মী নেয়া বন্ধ করে দিলে শুরু হয় ঢাকার কূটনৈতিক তৎপরতা। এরপর জনশক্তি রপ্তানীর জন্য দু’দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
‘স্পেশাল ওয়ান অব রিক্রুটমেন্ট প্রজেক্টে’র আওতায় বাংলাদেশ থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ওভারশিজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিস লিমিটেড-বোয়েলস’ এর মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় ১০ হাজার কর্মী পাঠানো হবে। এর মধ্যে সেদেশের ৬টি কোম্পানির কাছ থেকে পাওয়া গেছে এক হাজার কর্মীর চাহিদা। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকালে সরকারিভাবে বাংলাদেশি কর্মী যাওয়া শুরু হয়েছে দেশটিতে। নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতি প্রায় ৪৬ হাজার টাকা খরচ হলেও কর্মীদের কোন টাকা লাগছে না।
বাংলাদেশ ওভারশীজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিস লিমিটেড-বোয়েলস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মলিক আনোয়ার হোসেন জানান, শুরুতে ৩০ জন গেলেও পরবর্তী তিনদিন দু’ধাপে আরও ৬০ জনকে পাঠানো হবে। বিএমইটির ডাটাবেজ থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ও বিভিন্ন জেলায় জবফেয়ারের মাধ্যমে এসব কর্মীর তালিকা করা হয়েছে।