বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর লড়াইয়ের প্রথম দিনেই মাঠে নামে হট ফেভারিট আর্জেন্টিনা। ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউটের টিকিট পায় আলবিসেলেস্তেরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে লিওনেল স্ক্যালোনির দল হেসেখেলেই জয় পেয়েছে। ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসি নিজের ১০০০তম ম্যাচটি রাঙাতে ভুল করেন নি। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে এই আর্জেন্টাইন এবারের বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় গোলের দেখা পেয়েছেন। শেষ পর্যন্ত সকারুজদের ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।
পরের রাউন্ডে টিকে থাকার লড়াইয়ে ম্যাচের প্রথমার্ধে আক্রমণে তেমন দেখাতে পারেনি আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে রক্ষণ আগলে খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের প্রথমার্ধে ৬১ভাগ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখে মেসিরা। আর এই সময়ে ২টি শট নিতে পারে মাত্র আলবিসেলেস্তারা। অপরদিকে অস্ট্রেলিয়া আক্রমণে গেছে মাত্র ১বার।
আজ ম্যাচের ২০ মিনিট পর্যন্ত প্রতিপক্ষ শিবিরে একটি পরিক্ষাও নিতে পারেনি স্কালোনির শিষ্যরা। যেখানে পোল্যান্ডের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেওয়া আর্জেন্টিনা আজ যেন ছন্দ খুঁজে বেড়াচ্ছিল।
অপরদিকে ম্যাচের ৩১তম মিনিটে আকুনাকে ফাউল করলে কর্নার পায় অস্ট্রেলিয়া। তবে পারেনি সে সুযোগ কাজে লাগাতে। এর দুই মিনিট বাদে বিপদজনক জায়গায় ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। ফ্রিক-কিকের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মেসি। তবে গোলের দেখা ঠিকই পেয়েছেন।
ফ্রি-কিকের পর প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের জটলা থেকে বাঁ পাশ থেকে দুর্দান্ত এক গোলে আর্জেন্টিনাকে লিড এনে দেন মেসি। ম্যাচের বাকি সময় দুই দলের আর কেউ গোলের দেখা না পেলে ১-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরেই দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয়বার আনন্দ এনে দেন আলভারেজ। ডি-বক্সের মধ্যে দুই আর্জেন্টাইন ফুটবলারের সামনে পরে যান ম্যা ট রায়ান। একজনকে কাটাতে পারলেও আলভারেজকে এড়াতে পারেননি রায়ান। তার পা থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন আলভারেজ।