দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে সবশেষ দেখায় গুণে গুণে পাঁচ গোল দিয়েছিল ব্রাজিল। সেই দলটির বিপক্ষে বিশ্বকাপের মঞ্চে মুখোমুখি হতেই রীতিমত যেন আবার গোল উৎসবে মেতে উঠেছে লাতিন আমেরিকার দেশটি। স্টেডিয়াম ৯৭৪ এ ম্যাচের ৭ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র দিয়ে শুরু এরপর নেইমার, রিচার্লিসন এবং লুকাস পাকেতার গোলে চার শূন্য দিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ানরা। বিরতি থেকে ফিরে আগ্রসী খেলা তিতের শিষ্যরা আরো আক্রমণে থাকে কোরিয়ার উপরে। তবে ম্যাচে আর গোলের দেখা না পেলে ৪-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তিতের শিষ্যরা। যার ফলে ২২তম আসরের কোয়ার্টারের টিকিট নিশ্চিত করল সাম্বার দেশটি।
স্টেডিয়াম ৯৭৪ এ এদিন ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফেরেন ব্রাজিল পোষ্টারবয় নেইমার। ফলে শুরু থেকেই আক্রমণে নেমে পড়ে সেলেসাওরা। যার ফলে গোল পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি লাতিন আমেরিকার দেশটির। শুরুতেই দলকে এগিয়ে নেন ব্রাজিলের রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
অপরদিকে এলোমেলো খেলা দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে বেশি সময় লাগেনি সেলেসাওদের। ১১ মিনিটে কোরিয়ার বিপদসীমায় রিচার্লিসনকে ফাউল করে রক্ষণভাগের খেলোয়াড়। আর সাথে সাথে পেনাল্টি যায় ব্রাজিলের পক্ষে।
নেইমারের ঠাণ্ডা মাথায় নেয়া পেনাল্টিতে তিতের শিষ্যরা এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরেই গোল পেলেন সাবেক বার্সা তারকা।
অপরদিকে গ্রুপপর্বে প্রথম ম্যাচে রিচার্লিসনের দুই গোলে জিতেছিল ব্রাজিল। শেষ ষোলোর ম্যাচে আবারও জলে উঠলেন এই তারকা। ২৯ মনিটে কোরিয়ার রক্ষণদুর্গ ভেঙে দারুণ এক গোলে ৩-০ এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
তবে এক হালি গোল দিতে বেশি সময় নেননি লাতিন আমিরাকার দেশটি। ৩৫ মিনিটে কোরিয়ার জালে চতুর্থ গোল করলেন লুকাস পাকেতা। কাউন্টার অ্যাটাকে দারুণ ফুটবলে কোরিয়ার জালে চতুর্থ গোল করতে একটুও বেগ পেতে হয়নি নেইমারদের। প্রথমার্ধে বাকি সময় আর গোল না হলে ৪-০ এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতি থেকে এসে নিজেদের ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি সেলেসাওরা। যদিও রাফিনিয়া দুটি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও কোরিয়ার গোলরক্ষক কিম সিং গুই তার দুটি শটই আটকে দেন।
অপরদিকে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে পরা কোরিয়া ৭৬ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে। ফ্রি কিক থেকে বল ফিরে পাওয়ার পর পাইক সিনওগোহ দূরপাল্লার শট ব্রাজিলের গোলরক্ষক বেকারকে বাকরুদ্ধ করে দেন। ভলিতে বল নামিয়ে বাঁ পায়ের জোড়ালো শটে ব্রাজিলের রক্ষণ ভাঙেন সিনওগোহ। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হলে ৪-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তিতের দল।