আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মীর গায়ে বিএনপির মাইরের দাগ রয়েছে বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি এবার যে হাতে মারতে আসবে, সে হাত ভেঙে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলী, দুই মহানগরের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের যৌথসভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সরাসরি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘৭৫-এর পর থেকে শুধু মার খেয়েছি। এবার যে হাতে মারতে আসবে, সে হাত ভেঙে দেব।’ ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন ও হত্যা করা হয়েছে। ২০০১ সালের পর বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না।’ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা এলাকায় আমাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে।’
বিএনপি বিআরটিসি বাস পুড়িয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এরপর আগুন দিতে গেলে সবার হাতে মোবাইল ফোন ভিডিও করে যে হাত দিয়ে আগুন দিতে যাবে, ওই হাত ওই আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।’
বিএনপি বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগ দিয়েছিল। এছাড়া ২০০১ সালে বিদেশিদের কাছে ধর্না দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। এবারও তারা একই চেষ্টা করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি ধর্না দিয়ে লাভবান হয়েছিল। এবারও ভাবছে তাই হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের বিষয়ে জানতে বিএনপি লোক নিয়োগ দিয়েছিল। কিন্তু কিছুই পায়নি। তবে বিএনপি বিশ্বব্যাপী সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বিএনপি বিশ্বব্যাপী টাকা রেখেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘(২০০১ সালের পর) আওয়ামী লীগের এমন কোনো জনসভা নেই, যেখানে বিএনপি হামলা করে নাই।
আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না বলে মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা তো তাদের ওপর অত্যাচারও করতে চাইনি। মারতেও যাইনি।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট চুরি করে না। জনগণের ভোট সংরক্ষিত করে। এটা আমরা প্রমাণ করেছি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আহমেদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান ও আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।