ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোকের সাগরে ভাসছে ফুটবল প্রেমীরা। গতকাল রাতে মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই শোকের ছায়া পড়েছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক জানিয়েছেন দেশের তারকারা। শাকিব খান তার ফেসবুক হ্যান্ডেলে লিখেছেন, তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। আমার দেখা সর্বকালের সেরা ফুটবলার তিনি। তিনি সেরাদের সেরা ছিলেন। সাদিকা পারভিন পপি লেখেন, কিংবদন্তির মৃত্যু নেই। জয়া অহসান লিখেছেন, বিদায় রাজপুত্র
চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, আমাদের কৈশরে, স্কুল জীবনে মিশে ছিল যে নামটি। ম্যারাডোনা। চলে গেলেন পরপারে। খুব বেশী করে ফিরে যাচ্ছি সেই অতীতে। ম্যারাডোনার ছবিওয়ালা খাতায় লিখতে লিখতেই, স্কুল জীবন পার করা। এখন কেমন লাগছে, অনেককেই বোঝানো যাবে না। আমাদের গ্রামে চেয়ারম্যানের বাড়িতে একমাত্র সাদাকালো টেলিভিশন। তখনও গ্রামে বিদ্যুতের আলো পৌছায়নি। ব্যাটারী চালিত সাদাকালো টেলিভিশনে রাত জেগে চেয়ারম্যান বাড়ির উঠোনে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখা। কত কত স্মৃতি। তার আত্মার শান্তি হোক। আরিফিন শুভ লিখেছেন, একটি ইতিহাসের সমাপ্তি। শুভ বিদায় জাদুকর। আফরান নিশো লিখেছেন, রেস্ট ইন পিস দিয়াগো ম্যারাডোনা। নিরব লিখেছেন, ছোটবেলায় ফুটবল কি জানতামই না। শুধু জানতাম ফুটবল মানেই ম্যারাডোনা। কন্ঠশিল্পী আঁখী আলমগীর লিখেছেন, রেস্ট ইন পিস দিয়াগো ম্যারাডোনা। খুব দ্রুতই চলে গেলে। ক্লোজআপ তারকা সাজিয়া সুলতানা পুতুল লেখেন, যাদুকর কাকে বলে? যখন একজন মানুষ তার কারণে পৃথিবীর কোটি মানুষকে তার দেশটিকে চিনিয়ে দিতে পারেন, পারেন তারই মতো ক্ষ্যাপাটে অনুরাগীতে পরিণত করতে, পারেন চূড়ান্ত ব্যর্থতাতেও সেই দেশের সমর্থন ছেড়ে অন্য কোনো দলের অনুরাগী না হতে বাধ্য করতে, পারেন প্রজন্মের পর প্রজন্মে তার দেশের নামটিকে বুকে গাঁথিয়ে নিতে, পারেন শিরোপার দৌড়ে পিছিয়ে থেকেও গলা উঁচিয়ে সমর্থকদের কথা বলিয়ে নিতে, পারেন তার দেশ থেকে হাজার মাইল দূরের দেশের ছোট্ট গ্রামের চায়ের দোকান বা বাড়ির ছাদে তার দেশের পতাকা টানিয়ে নিতে! তবে সেই মানুষটিকে ম্যারাডোনা হতে হয়! ফুটবলবিশ্বের সবচেয়ে আদুরে আর পাগলাটে আর ক্ষ্যাপাটে আর অভিমানী নাম, বিদায়! গতকাল ৬০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ম্যারাডোনা। তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।