২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৬:১৮
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৬:১৮

আমি জিতব, রংপুরবাসী আর ভুল করবে না: ডালিয়া

উন্নয়নের স্বার্থে রংপুরবাসী আর ভুল করবে না, উন্নয়নের প্রতীক নৌকাকে বিজয়ী করবে বলে মন্তব্য করেছেন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে জানিয়ে জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশা প্রকাশ করেন।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নৌকার প্রার্থী বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ চমৎকার রয়েছে। উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নগরবাসী ভোট দিতে কেন্দ্রে আসছেন। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। রংপুরের মানুষ আর ভুল করবে না। উন্নয়নের স্বার্থে নৌকায় ভোট দেবে।’

নৌকার প্রার্থী বলেন, ‘বিজয়ী হয়ে আমি নগরবাসীকে দেওয়া ইশতেহারগুলো বাস্তবায়ন করে একটি তিলোত্তমা নগরী হিসেবে রংপুর সিটি করপোরেশনকে গড়ে তুলবো।’

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে নগরীর ২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

এবার রংপুর সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন একজন। ২২৯টি কেন্দ্রের বুথ সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৯টি।

নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুজন কনস্টেবল, দুজন অস্ত্রধারী আনসার, ১০ জন আনসার-ভিডিপি সদস্যসহ মোট ১৫ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ৮৬টি ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন কনস্টেবল, দুজন অস্ত্রধারী আনসার ও ১০ জন আনসার-ভিডিপি সদস্যসহ মোট ১৬ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে।

নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ১১ প্লাটুন বিজিবি, ১৭টি র্যাবের টিম, পুলিশ, এপিবিএন ও আনসার ব্যাটালিয়ন সমন্বয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করছে।

এছাড়া নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের জন্য ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এর পাশাপাশি ২২৯টি কেন্দ্রের সবগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn