উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের প্রথম মেট্রোরেল। উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশ এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। আগামীকাল (বুধবার) মেট্রোরেলের এই অংশে রেল চলাচলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন মাস ধরে মেট্রোরেল চালিয়ে উদ্বোধনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নগরবাসি বলছেন, এর ফলে রাজধানীর যাত্রাপথে দীর্ঘদিনের বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পাবেন তারা।
দেশের আরও একটি মেগা প্রকল্প যাত্রা শুরুর অপেক্ষায়। বিদ্যুৎচালিত, দ্রুতগামী ও পরিবেশবান্ধব মেট্রোরেল। ২৮শে ডিসেম্বর বুধবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম উড়ালপথের এই রেলের। আর ২৯শে ডিসেম্বর থেকে তাতে চড়তে পারবেন যাত্রীরা।
উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় বিশ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৪ সালে। তবে রাজধানীবাসীর পরিবহন সংকটের কথা মাথায় রেখে দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশ আগেই উদ্বোধন করা হচ্ছে। এই অংশে ১০ সেট রেল চলবে, প্রতিটিতে বগির সংখ্যা থাকবে ছয়টি।
তিন মাস ধরে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশের বিভিন্ন স্টেশন পর্যন্ত রেল চালিয়ে কয়েক ধাপের পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। ঠিক করা হয়েছে ত্রুটিবিচ্যুতি।
রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালনা এবং উন্নত যাত্রী সেবা দিতে অত্যাধুনিক স্টেশন কন্ট্রোল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। মেট্রোরেলের প্রথম অংশে রয়েছে ৯টি স্টেশন। সম্পূর্ণ শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টেশনের দ্বিতীয় তলায় থাকছে টিকেট কাউন্টার। স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে টিকেট বিক্রি করা হবে। স্টেশনের তৃতীয় তলায় থাকবে প্ল্যাটফর্ম, যেখান থেকে যাত্রীরা মেট্রোরেলে চড়বেন। যাত্রীদের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে পুরো প্ল্যাটফর্ম ঘিরে থাকছে বিশেষ দরজা।
উদ্বোধনের জন্য মেট্রোরেলের দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ পরিপাটি করা হয়েছে। অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন রাজধানীবাসী। মেট্রোরেলে চড়তে সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে মতিঝিল অংশ পর্যন্ত মেট্রোরেলের পুরো অংশের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা।