২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১১:৩৩
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১১:৩৩

বিছানায় রক্তের দাগ, সংবাদ সম্মেলন আসছেন পরীমনি

বিছানায় রক্তের দাগওয়ালা দুটি ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করে ভক্তদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। একই সঙ্গে তিনি সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানান ফেসবুক স্ট্যাটাসে।

রোববার ভোর ৫টা ১৩ মিনিটে ফেসবুকে ওই ছবি পোস্ট করলেও বিস্তারিত লেখেননি পরীমনি। তবে একদিন আগেই দিয়েছিলেন স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে সংসারে ভাঙনের খবর।

শুক্রবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ফেসবুকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পরীমনি লেখেন— ‘হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে।’

আরেক অংশে এ নায়িকা লিখেছেন— ‘জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নাই।’

পরীমনি এ স্ট্যাটাস মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। লাইক কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়। অনেকেই তাদের সম্ভাব্য বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

স্ট্যাটাসের বিষয়ে পরীর সঙ্গে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে রাজের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা স্বীকার করেন পরীমনি। 

পরীমনি বলেন, ‘এখনো বিচ্ছেদ হয়নি। তবে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করে রাজের বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছি। আজ থেকে আমরা আলাদা হয়ে গেলাম। শিগগির বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দেব।’

আলাদা হয়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে পরীমনির ভাষ্য— ‘বেশ কিছু দিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যা কাটিয়ে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারলাম না। তার (রাজ) যে আচার-আচরণ তাতে একসঙ্গে থাকার পরিস্থিতি নেই। তাই বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেলাম। আমার মানসিক অবস্থা এখন ভালো নেই; এর বেশি আর কিছু বলতে পারছি না।’

চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে রাজ-পরীর সম্পর্কের খবর। গত ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকার দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। গত চার মাসে তাদের ঘর আলো করে আসে ছেলেসন্তান রাজ্য।

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত এক নায়িকাকে ঘিরে সংসারে অশান্তি এমন ইঙ্গিত দিয়ে কিছু দিন আগে একটি পোস্ট করেন পরীমনি। সেটি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়

Facebook
Twitter
LinkedIn