ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘সুনির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করার পর ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা লকডাউন করতে পারবো। কিন্তু এর আগে আমাদেরকে সুনির্দিষ্ট ম্যাপিং পেতে হবে। আমরা আশা করছি আগামী দু’তিনদিনের মধ্যে নির্দিষ্ট কোন এলাকা লকডাউন করতে হবে তার তালিকা পেয়ে যাবো। ’
মঙ্গলবার (১৬ জুন) নগর ভবনে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন বিষয়ক ডিএসসিসির কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তাপস বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে এলাকা চিহ্নিত করে দেবে, আর সেখানে কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ত করে এলাকাবাসীর যে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, সেভাবে আমরা বাস্তবায়ন করবো। সেখানকার অসহায় মানুষদের খাবার পৌঁছানোর ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের কাজ সেখানে আছে। সুনির্দিষ্ট এলাকায় আমরা মাইকিং করে, জনগণকে সচেতন করে এরপর লকডাউন করবো। যে কারণে নির্দিষ্ট এলাকার তালিকা পাওয়ার পর আমাদের আরও ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে।’
মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করবো লকডাউন হওয়া নির্দিষ্ট সেসব এলাকার মানুষদের যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। আসলে সবার সহযোগীতা, সচেতনতাই পারে এই কার্যক্রম সফল করতে। সবাই যদি সচেতন এবং নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি তবেই সব কার্যক্রম সফল হবে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি’।
এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার বিবেচনায় রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করে করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে রেড জোনের জন্য সুপারিশ করা এলাকার মধ্যে আছে- যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরীবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড ও সেগুনবাগিচা।