রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা লেগেছে চট্টগ্রাম বন্দরেও। ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২১ সালের তুলনায় কনটেইনার হ্যান্ডলিং কমেছে। বন্দর ব্যবহারকারীরা বলেছেন, ডলার সংকটে এলসি খুলতে না পারায় আমদানি কমেছে। একই সময় কমেছে রপ্তানিও। ফলে কমে গেছে কনটেইনার হ্যান্ডলিংও।
দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সিংহভাগ হয় চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে সক্ষমতা বাড়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংও বাড়ছিল। তবে এবার ছন্দ পতন ঘটেছে।
২০২১ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৫৪৮ টিইইউএস। আর সদ্য গত ২০২২ সালে হয়েছে ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৫০৪ টিইইউএস। যা ২০২১ সালের তুলনায় ৭২ হাজার ৪৪ টিইইইউস কম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে। সেই সাথে ডলার সংকটে ব্যাংকের আমদানি এলসি খুলতে না পারা আমদানি কম হয়েছে, একই কমেছে রপ্তানিও।
তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, জাহাজ আসার সংখ্যা বাড়ছে। ফলে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বাড়বে বলে আশা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২২ সালে সর্বোচ্চ জাহাজ ভিড়েছে ৪ হাজার ৩৬১টি। যা আগের বছরের তুলনায় ১৫২টি বেশি; ২০২১ সালে ভিড়েছিল ৪ হাজার ২০৯টি জাহাজ।
চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর চিত্র
সাল কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ
২০২১ ৩২,১৪,৫৪৮ টিইইউএস
২০২২ ৩১,৪২,৫০৪ টিইইউএস
এক বছরে কমেছে ৭২,০৪৪ টিইইইউস
সূত্র: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ