২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৯:২০
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৯:২০

ফারদিন হত্যা : জামিন পেলেন বুশরা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আমাতুল্লাহ বুশরার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে  বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) একই আদালতে জামিন শুনানি হয়। বুশরার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মাহবুবুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।

আইনজীবীর মাধ্যমে গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেন বুশরা। আবেদন গ্রহণ করে শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে, ফারদিনকে খুন করা হয়েছে দাবি করে ১০ নভেম্বর রামপুরা থানায় দায়ের করা মামলায় ‘হত্যার পর লাশ গুম’ করার অভিযোগ আনেন ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন। সেই মামলায় ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে এক নম্বর আসামি করা হয়। একই দিনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পাঁচ দিন রিমান্ডের পর এখন তিনি কারাগারে আছেন।

মামলার অভিযোগে ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন বলেন, ফারদিনকে রামপুরা এলাকায় বা অন্য কোথাও হত্যাকারীরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ হত্যার পেছনে তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার ইন্ধন রয়েছে।

তার আগে, ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান, ‘তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে’।

এ মামলার তদন্তভার ডিবি পুলিশের ওপর ন্যস্ত করা হয়। এরপর ফারদিনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে মাদক সংশ্লিষ্টতা, মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে খুন ও কিশোর গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতার বিষয় সামনে আসে। সর্বশেষ তদন্ত অগ্রগতি নিয়ে এক ধরনের ‘সমঝোতা’য় পৌঁছে ডিবি পুলিশ ও র‌্যাব জানায়, স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ বা আত্মহত্যা করেছেন ফারদিন। ডিবি পুলিশ জানায়, ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় জেলে থাকা বুশরা নির্দোষ।

Facebook
Twitter
LinkedIn