স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশের স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের জনবলের অভাব রয়েছে। কোনো রোগের জন্য কতজন স্পেশালিস্ট প্রয়োজন, সেটি আমরা নির্ণয় করছি। আমরা আপনাদের জনবল সমস্যা খুব দ্রুতই সমাধান করবো।’
‘স্মার্ট টেকনোলজির সাথে ইউরোলজির অগ্রগতি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ রোববার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইউরোলজিক্যাল সার্জনস আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের চিকিৎসক ও গবেষকরা অংশ নেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবায় অনেক সমস্যা রয়েছে। এগুলোর ইমপ্রুভ (উন্নতি) করতে গেলেও অনেক সমস্যা আছে, যা খোলামেলাভাবে বলার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে স্বাস্থ্যখাতকে ডিজিটালাইজড করছি। কোভিডে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষও চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। আমরা জনবলের নতুন অর্গানোগ্রাম করছি। আমাদের হেলথ মিনিস্ট্রিতে জনবল আছে তিন লাখ, নতুন অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন হলে ৬ লাখ জনবল লাগবে। যদিও সরকার রাতারাতি এগুলো দিতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর নতুন পাঁচটি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়াও নতুন করে কোভিডকালীনে ১২ হাজার ডাক্তার, ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ডিজিটাল হেলথ রেকর্ডিং প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। আমরা ৩৪ কোটি ভ্যাকসিন দিয়েছি, যেখানে বাংলাদেশের স্থান বিশ্বে পঞ্চম ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথম। এজন্য চিকিৎসকদের ধন্যবাদ।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের অনুমোদন দিয়েছি কিন্তু ট্রান্সপ্ল্যান্ট খুবই কম। এছাড়াও নতুন নতুন হাসপাতালগুলোতে ইউরোলোজি থাকার কথা। সরকারি সব হাসপাতালে ইউরোলোজি ডিপার্টমেন্ট যেন হয়, সেটি আমরা করবো। অনুষ্ঠানে প্রমোশন, পোস্টিংয়ের কথা এসেছে। যেহেতু এখানে আলোচনা হয়েছে, আমরা বিষয়টি দেখবো।’