ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর পতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১৯ দশমিক ৯১ শতাংশ।
ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৩৮ লাখ ৩৮ হাজার ২০০ টাকার। আর সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট লেনদেন হয় ৭১ কোটি ৯১ লাখ ৯১ হাজার টাকার।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ বা ৩৩ টাকা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪২২ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে শেয়ারদর ৪১৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫৬ টাকায় হাতবদল হয়। এদিন ২ লাখ ৬৭ হাজার ১৪২টি শেয়ার ৫ হাজার ২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৭৬ টাকা থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে সম্প্রতি ওষুধ ও রসায়ন খাতের ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড পরিচালনা পর্ষদের ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সুপারিশকৃত বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদন করেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তাই বোনাস লভ্যাংশের পরিবর্তে নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ওরিয়ন ইনফিউশনের পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু বোনাস লভ্যাংশ চূড়ান্ত করার আগে বিএসইসির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য কোম্পানিটি বিএসইসির কাছে আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে এই বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার অনুমোদন পায়নি। তাই বোনাসের পরিবর্তে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। অর্থাৎ ২০২২ সালের ৩০ জুন হিসাববছরের জন্য সর্বমোট ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে কোম্পানিটি।
ওরিয়ন ইনফিউশন ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬ কোটি ২ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ২ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৫ দশমিক ১০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এবং বাকি ৫৪ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৩ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৭২ পয়সা। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। এছাড়া আলোচিত প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ পয়সা।