টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দীর্ঘ যানজট এসে ঠেকেছে রাজধানীর মহাখালী পর্যন্ত। এতে বিমানবন্দর সড়কে চলাচলকারী মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মহাসড়কে আটকে আছে শতশত গাড়ি। তীব্র যানজটের কারণে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন বিশ্ব ইজতেমাগামী হাজারো মুসল্লিসহ সাধারণ মানুষ। মূলত মধ্যরাত থেকে সৃষ্ট এই যানজট বিমানবন্দর এলাকা ছাড়িয়ে একদিকে রাজধানীর মহাখালী ও অন্যদিকে রামপুরা এবং মিরপুর রুটে কালশী পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকেই নানা প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জড়ো হচ্ছেন টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে। ঢাকা থেকে টঙ্গীর উদ্দেশে যাওয়া মুসল্লিদের জন্য সায়েদাবাদ-রামপুরা-বিমানবন্দর-টঙ্গী এই রুটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই রুটে বিশেষ করে বিমানবন্দর এলাকায় কালকে রাত থেকে সৃষ্টি হওয়া তীব্র যানজটের কারণে উল্লেখিত এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারীরা পড়েছেন বিপাকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় তাদের রাস্তায় পার করতে হচ্ছে।
সকাল থেকে কার্যত এয়ারপোর্টমুখী সড়কে যান চলাচল স্থবির হয়ে রয়েছে। বিশেষ করে মহাখালী বা প্রগতি সরণি থেকে বিমানবন্দর হয়ে উত্তরাগামী রাস্তায় যানচলাচল একদম বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বিমানবন্দর হয়ে এই যানজটে একদিকে পৌঁছেছে মহাখালী ফ্লাইওভার পর্যন্ত আর অন্যদিকে পৌঁছেছে রামপুরা পর্যন্ত। এতে করে অশেষ ভোগান্তিতে পড়েছেন বিশ^ইজতেমাগামী যাত্রীরা ও জনসাধারণ। ঘণ্টা পর ঘণ্টা গাড়িতে বসে থেকে অতিষ্ট হয়ে অনেক যাত্রী বাধ্য হয়ে হেঁটে এগোচ্ছেন গন্তব্যের দিকে।
বিমানবন্দর এলাকায় কর্মরত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের (উত্তরা) একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে দেশ ও বিদেশে থেকে হাজার হাজার মুসল্লি তুরাগ নদীর পাড়ে এসে হাজির হচ্ছেন। এর কারণে মূলত রাস্তায় অনেক চাপ বেড়ে গেছে। ফলে বিমানবন্দর এলাকা থেকে উত্তরার দিকে বা গাজীপুরের দিকে কোনও গাড়িপ্রবেশ করতে পারছে না।
এ বিষয়ে উত্তরা ট্রাফিক বিভাগের উত্তরা পূর্ব জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ এসে তুরাগ পাড়ে জড়ো হচ্ছেন বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে। গতকাল থেকে মানুষজন আসা শুরু করেছে। ফলে হাজার হাজার মানুষের চাপে উত্তরা থেকে টঙ্গী এলাকায় যান চলাচল স্থবির।