দেশে যে পরিমাণ গ্যাস মজুত আছে তা দিয়ে প্রায় ১১ বছর চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বর্তমানে (জুন, ২০২২ হিসাবে) মজুত গ্যাসের পরিমাণ ৯ দশমিক শূন্য ৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
প্রশ্নে নুরুন্নবী চৌধুরী জানতে চান, দেশে বর্তমানে গ্যাসের মজুতের পরিমাণ কত এবং চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে কি না।
উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে (জুন, ২০২২) দেশে মজুত গ্যাসের পরিমাণ ৯ দশমিক শূন্য ৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। সর্বশেষ (১ জুলাই, ২০২২) প্রাক্কলন অনুযায়ী দেশে মোট উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুত ২৮.৫৯ টিসিএফ। শুরু হতে ৩০ জুন, ২০২২ পর্যন্ত দেশে ক্রমপুঞ্জিত গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ১৯ দশমিক ৫৩ টিসিএফ। সে হিসাবে বর্তমানে (১ জুলাই, ২০২২ হিসাবে) উত্তোলনযোগ্য অবশিষ্ট মজুতের পরিমাণ ৯ দশমিক শূন্য ৬ টিসিএফ।
তিনি বলেন, দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে দৈনিক গড়ে প্রায় দুই হাজার ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে বিবেচনায় অবশিষ্ট মজুত গ্যাস দিয়ে প্রায় ১১ বছর চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।