নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পাতাল রেল নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় জনগণের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের রাজউক কমার্শিয়াল প্লট মাঠে পাতাল মেট্রো লাইন নির্মাণকাজের উদ্বোধন ঘোষণা ও ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পর সেখানে সুধী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, সমাবেশস্থলে যোগ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ও আশাপাশের এলাকার হাজার হাজার মানুষ। আর প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘরে জনগণের মাঝে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত রূপগঞ্জ জনতা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রাজউকের কমার্শিয়াল প্লট মাঠ।
সকাল হতে স্থানীয় ও বিভিন্ন জায়গা থেকে নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে একত্রিত হয়ে মিছিল নিয়ে একে একে জনসভাস্থলে যোগ দিয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দ্বিতীয় মেট্রোরেল হচ্ছে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত, যা মূলত পাতালরেল। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) বাস্তবায়ন হতে চলা প্রায় ২০ কিলোমিটার এই রেলপথ মাটির নিচে নির্মিত হবে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, দ্বিতীয় মেট্রোরেলের (উড়াল ও পাতাল) দু’টি রুটের মোট দৈর্ঘ্য ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এটি এমআরটি লাইন-১ হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত প্রায় ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার পাতালরেল। এই রুটে ১২টি স্টেশন হবে। এগুলো হলো- বিমানবন্দর, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর।
এছাড়া পূর্বাচল রুটে নতুন বাজার স্টেশনটি পাতালে নির্মাণ করা হবে। নতুন বাজার থেকে পূর্বাচলের নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ পর্যন্ত যাবে এই রুট; যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার। উড়ালপথের এই রুটে স্টেশন হবে ৯টি। এগুলো হলো- নতুন বাজার, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা, পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি, মাস্তুল, পূর্বাচল পশ্চিম, পূর্বাচল সেন্টার, পূর্বাচল পূর্ব, পূর্বাচল টার্মিনাল ও পিতলগঞ্জ ডিপো। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দৈনিক ৮ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে।