২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:৪৭
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:৪৭

স্থায়ী জামিন পেলেন ফখরুল-আব্বাস

রাজধানীর নয়াপল্টনে নাশকতা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

বুধবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম গোলাম মোস্তফা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া। বিএনপির দুই নেতার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও সগীর হোসেন লিয়ন।

এ রায়ের ফলে পল্টন থানার এই মামলায় বিএনপির ওই দুই নেতা স্থায়ী জামিনে থাকবেন।

ঢাকায় গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ও স্থান নির্ধারণ নিয়ে উৎকণ্ঠা-উত্তেজনার মধ্যে গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে জমায়েত হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু ও শতাধিক আহত হন। 

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে- এমন অভিযোগ তুলে তখন ওই কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাসহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে। সেদিন মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার না করলেও পর দিন রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। একই রাতে আটক করা হয় মির্জা আব্বাসকেও। পর দিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলা ও উসকানি দেওয়ার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। 

আদালতে তাদের পক্ষে জামিন আবেদন করা হলেও তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর ১২ ডিসেম্বরও তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। 

এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নিতে চাইলেও রিমান্ড নামঞ্জুর করেন আদালত। পরে ১৫ ও সর্বশেষ ২১ ডিসেম্বরও তাদের জামিন আবেদন নাকচ হয়। এর পরই উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। 

গত ৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে। 

আপিল বিভাগ ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিন বহাল রেখে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। 

এ আদেশের পর দিন ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস কারামুক্ত হন।

Facebook
Twitter
LinkedIn