২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৯:২২
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৯:২২

রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন সাবেক জেলা দায়রা জজ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। 

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম দাখিল করেন। 

আজ (রোববার) রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এদিন বিকেল ৪টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। 

সোমবার সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে। পরদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। 

জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার কারণে এ দলের পক্ষ থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তিনিই একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা থেকে রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সংসদের বিরোধী দল এ নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না।

পাবনার সন্তান মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর জন্ম ১৯৪৯ সালে। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা হয়। যাতে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ওসব ঘটনার তদন্তে ‘কমিশন’ গঠন করে, যার প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

উল্লেখ্য, সংবিধানের ১২তম সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর শুধু ১৯৯১ সালেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা ভোট গ্রহণ করা হয়। ওই সময় সংসদে ক্ষমতাসীন বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন ১৪০ জন। অন্য সংসদ সদস্যরা ছিলেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও অন্য সাতটি দলের। সে কারণে ভোট গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়নি।

Facebook
Twitter
LinkedIn