আজ ১৩ই ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব বেতার দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বেতার ও শান্তি’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বেতার ও শান্তি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘বিশ্ব বেতার দিবস’ পালনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় গণমাধ্যম বেতার জনগণের কাছে তথ্য ও বিনোদন পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। সাধারণ মানুষের কাছে বেতার হতে পারে শান্তি ও স্থিতিশীলতার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, জনমানুষের কাছে নানা তথ্য পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে তাদের জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ বেতার মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র মহান মুক্তিযুদ্ধে দ্বিতীয় ফ্রন্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল, যা ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তি সংগ্রামে অনন্য ভূমিকা রাখে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ তৎকালীন স্বৈরশাসকের বাধা উপেক্ষা করে ৮ই মার্চে বেতারে প্রচার মুক্তিকামী বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় বাংলাদেশ বেতার নিরলসভাবে এ দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছিল।
দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বেতার দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দুপুর দেড়টায় র্যালি ও বিকেলে আলোচনা সভা। র্যালির উদ্বোধন করবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। এ ছাড়া বিকাল ৪টায় আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের অফিসার ইনচার্জ মিস সুসান মারী ভিজ। সন্ধ্যায় থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।