২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১২:৩৭
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১২:৩৭

আজ থেকে চালু হলো মেট্রোরেলের উত্তরা সেন্টার স্টেশন

 তিনটি স্টেশন চালুর পর এবার মেট্রোরেলের চতুর্থ স্টেশন ‘উত্তরা সেন্টার’ যাত্রী চলাচলের জন্য চালু হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই স্টেশন।

এর আগে উত্তরা (দিয়াবাড়ী), আগারগাঁও স্টেশন দিয়ে যাত্রা শুরু করে মেট্রোরেল। পরে পল্লবী স্টেশন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সবশেষ মেট্রোরেলের চতুর্থ স্টেশন হিসেবে খুলেছে উত্তরা উত্তরের এই স্টেশনটি।

উত্তরার বাসিন্দা সালমান বলেন, মেট্রোরেল চালুর পর থেকে উত্তরা দিয়াবাড়ী থেকে যেতে হত। এখন এটি চালু হওয়ায় যাতায়াতের জন্য আরও সুবিধা হলো। তবে ফার্মগেট স্টেশন চালু হলে আমার জন্য সবচেয়ে সুবিধা হবে।

হাসান আলি নামে আরেকজন বলেন, আমাদের এলাকার অনেকেই মেট্রোরেলে চড়েছেন। এখন কাছের এই স্টেশন আমাদের কাজে যাতায়াতে আরও গতি আনবে।

ডিএমটিসিএল গত বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছিল। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রুটে মোট ৯টি স্টেশন রয়েছে। বর্তমানে আগারগাঁও, পল্লবী ও উত্তরা উত্তর স্টেশন- এ তিনটি স্টেশন চালু রয়েছে।

এছাড়া আগামী ১ মার্চ মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন খুলে দেওয়া হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে উত্তরা সাউথ, মিরপুর-১১, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশন সাধারণ যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

ঢাকা শহরের চিরচেনা যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে সাড়ে ছয় বছর আগে উত্তরায় দেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণযজ্ঞ শুরু হয়েছিল। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরের দিন ২৯ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করে মেট্রোরেল। এরপর থেকে মেট্রোরেল প্রতিদিন উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ী) থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সরাসরি চলাচল করছে।

২০১৭ সালের ৩ আগস্ট মেট্রোরেল প্রকল্পের পাইলিং কাজের উদ্বোধন করেন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনের সামনের সড়কে এর উদ্বোধন করা হয়। শুরুতে ওবায়দুল কাদের মেট্রোরেলের মূল কাজের ফলক উন্মোচন করেন। এরপর নিজেই চেপে বসেন পাইলিং মেশিনে।

এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা উত্তর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ কিলোমিটার (২১,২৬ কিলোমিটার)। এর মোট ব্যয় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-জাইকার ঋণ ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

Facebook
Twitter
LinkedIn