আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তবে তিনি (খালেদা জিয়া) রাজনীতি করবেন কি না সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। সেখানে (রাজনৈতিক প্রক্রিয়া) সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না বলেও জানান তিনি।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ১৪ শ বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী জজদের জন্য আয়োজিত ‘১২ শ ওরিয়েন্টেশন কোর্স’উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, ‘সংবিধানের ৪০১ ধারায় খালেদা জিয়াকে অসুস্থ হিসেবে মুক্তি দেয়া হয়েছে। রাজনীতির কথা তাতে বলা নেই। তবে দণ্ডিত হওয়ায় আইন অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারবেন না।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে যান বেগম খালেদা জিয়া। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষে ওই বছরের অক্টোবরে সাজা বেড়ে দ্বিগুণ হয় বিএনপি নেত্রীর। একই মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আরও সাত বছরের সাজা হয় তার। সব মিলিয়ে তার সাজা হয় ১৭ বছর।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন বিএনপি প্রধান। তার জামিনের আবেদন বারবার নাকচ হওয়ার মধ্যে স্বজনরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুক্তির আবেদন নিয়ে যান। আর সরকারপ্রধানের নির্বাহী আদেশে ওই বছরের ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এরপর গুলশানের বাসায় ফিরোজায় ওঠেন। সেখানে থাকার পর বেশ কয়েকবার অসুস্থ হলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হলে তাকে ফের বাসায় আনা হয়।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করা হবে বলে দলটির নেতারা বক্তব্য দিয়ে আসছে। রোববার খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, দুই বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না, সেটা সংবিধানে বলা আছে। এটা নতুন করে বলতে হবে না। তবে তিনি রাজনীতি করতে চাইলে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।