দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন গত সপ্তাহে তিনশ’ কোটি টাকার নিচে নেমে গেছে। যা দেড়মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। লেনদেনে নেই স্বাভাবিক গতি ও প্রাণ। পুঁজিবাজার মৃত বাজার হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদরা। ডলার নেয়ার সুযোগ কম থাকায় বিদেশি কোম্পানিগুলো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে পারবে কিনা এনিয়েও সংশয়ে আছেন তারা। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আসছে বাজেটে লভ্যাংশ ও লেনদেনের উপর কর কমানোর দাবি জানান ডিএসইর কর্মর্কতারা।
গতসপ্তাহে পুঁজিবাজারের লেনদেন কমতে কমতে তলানিতে। দুইশো থেকে তিনশো কোটি টাকার মধ্যেই লেনদেন আটকে ছিল।বেশিরভাগ কোম্পানি শেয়ারের দাম ও লেনদেন কমতে থাকায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও হয়ে পড়ে হতাশ।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২২৭ পয়েন্টে। আর ৫৫ কোটি ১৮ লাখ কমে লেনদেন হয়েছে ২৮৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আর শেষ কার্যদিবসে ৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা কমে লেনদেন হয়েছে ২২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। যা ছিল পহেলা জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন লেনদেন।
অর্থনীতিবিদআবু আহমেদ বলছেন, লেনদেন কমে যাওয়ার বড় কারণ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমে যাওয়া। এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগ ও লেনদেন কম করছেন। বাজারের স্বাভাবিক গতি ফেরাতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য লেনদেনর উপর কর কমানোর সুবিধা চেয়েছেন ডিএসই’র সহ-সভাপতি শাকিল রিজভী।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে ৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫০টির। আর ১৫৪টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে।
গত সপ্তাহের পুঁজিবাজারের চিত্র
কার্যদিবস লেনদেন (টাকা) সূচক (পয়েন্ট)
রবিবার ২৮৫ কোটি ১৫ লাখ ৬২২৭ লাল
সোমবার ৩২৬ কোটি ৭২ লাখ ৬২১৮ লাল
বুধবার ২৫৭ কোটি ৬৩ লাখ ৬২১৮
বৃহস্পতিবার ২২২ কোটি ৯৯ লাখ ৬২০৫ লাল