পাপুয়া নিউ গিনিতে ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পাপুয়া নিউ গিনি ওশেনিয়ার একটি দেশ। প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যভাগ ও দক্ষিণাংশের দ্বীপসমূহকে একত্রে ওশেনিয়া বলা হয়।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পাপুয়া নিউ গিনির কান্দ্রিয়ান অঞ্চলে আঘাত হানে। উৎপত্তিস্থলে এটির গভীরতা ছিল ৩৮ দশমিক ২ কিলোমিটার।
ভূমিকম্প থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে কিম্বে শহরের কাছে একটি ওয়ালিন্দি প্ল্যান্টেশন রিসোর্টে কম্পন অনুভূত হয়েছিল। তবে একজন কর্মী এটিকে ‘খুব খারাপ নয়’ বলে বর্ণনা করেছেন।
রিসোর্টের কর্মী ভেনেসা হিউজ বলেছেন, ‘কেউ সত্যিই প্রতিক্রিয়া জানায়নি, এটি কেঁপে উঠেছে, কিন্তু কোন ক্ষতি হয়নি।’
তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে শনিবার জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইডো দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ২৭ মিনিটের দিকে হোক্কাইডো দ্বীপের পূর্ব অংশ রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে। তবে এই ভূমিকম্পের পর কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
জাপানের জাতীয় ভূবিজ্ঞান গবেষণা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এনআইইডি বলেছে, ভূমিকম্পটি নেমুরো উপদ্বীপের ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬১ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হয়েছে। ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এছাড়া একই দিনে তুরস্কেও আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প। গত ৬ ফেব্রুয়ারির প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের ক্ষত কাটিয়ে না উঠতেই শনিবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় আনাতোলিয়া প্রদেশের নিগদে শহর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে।
ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি) বলেছে, তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ওই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে মিয়ানমারের আয়াবতী ও রাখাইন রাজ্যেও জোড়া ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশের কক্সবাজারেও। এর আগে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ে মাঝারি মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট জেলায়ও অনুভূত হয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়া। এতে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল তুরস্কেই প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ। আহত হয়েছেন আরও লাখ লাখ মানুষ।