খেলার প্রথমার্ধেই কুরাসাওয়ের জালে রীতিমত গোল উৎসব করেছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তেদের হয়ে প্রথমার্ধে হ্যাটট্রিকও পূর্ণ করেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। সবশেষ ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৮৬ নম্বরে থাকা কুরাসাওকে ৭-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে লিওনেল স্ক্যালোনির দল।
বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় শুরু হওয়া ম্যাচের প্রথমার্ধেই পাঁচ গোলের লিড নেয় আর্জেন্টিনা। হ্যাটট্রিকও করেন মেসি। বাকি দুইটি গোল আসে নিকোলাস গঞ্জালেস ও এনজো ফার্নান্দেসের পা থেকে।
এদিকে বিশ্বকাপ জয়ের প্রায় তিনমাস পর মাঠে নেমেই পানামার বিপক্ষে ৯৯তম আন্তর্জাতিক গোলের দেখা পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। আজকের ম্যাচটি তাই লা পুলগার জন্য অপেক্ষা করছিল নতুন মাইলফলকে পৌঁছানোর। কুরাসাওয়ের বিপক্ষে খেলার ২০তম মিনিটে সেই কাঙ্ক্ষিত শততম গোলের দেখাও পেয়ে যান এলএমটেন।
লো সেলসোর কাছ থেকে বল পেয়ে ডান পায়ে লক্ষ্যভেদ করেন এই আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর। এই গোলের মধ্য দিয়েই বিশ্বের তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে ১০০ গোল করার কীর্তি গড়লেন মেসি। ১০০ গোল করতে তার লেগেছে ১৭৪ ম্যাচ।
এদিকে খেলার শুরু থেকেই মেসি-ডি মারিয়াদের সামনে নাছোরবান্দা হয়ে পড়ে কুরাসাও। ২০তম মিনিটে লা পুলগার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ২৩তম মিনিটেই আর্জেন্টিনাকে আরেকটি গোল এনে দেন নিকোলাস গঞ্জালেস। এরপর ৩৩ থেকে ৩৭, এই মিনিট পাঁচেকের মধ্যে আরও ৩ গোল হজম করে কুরাসাও।
৩৩তম মিনিটে জোড়া গোল পূর্ণ করেন মেসি। আর ৩৫তম মিনিটে জাল লক্ষ্যভেদ করেন এনজো ফার্নান্দেজ। সবশেষ মেসির হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয় ৩৭তম মিনিটে। তার এই গোলেও অ্যাসিস্ট করেন সেলসো।
প্রথমার্ধের বাকি সময় আর কেউ গোলের দেখা না পাওয়ায় পাঁচ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় স্ক্যালোনি শিষ্যরা।
বিরতি থেকে ফিরে কিছুটা ঢিমেতালে খেললেও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ৭৮তম মিনিটে লো সেলসোর বদলি নামা ডি মারিয়া স্পট কিকে ব্যবধান বড় করেন। আর ৮৭তম মিনিটে দিবালার পাস পেয়ে শেষ গোলটি করেন মন্টিয়েল। তার গোলেই ৭-০ ব্যবধানের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।