২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১১:৫১
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১১:৫১

আগুন দেখতে এসে নিখোঁজের অভিযোগ, মা-স্ত্রীর আর্তনাদ 

রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।  আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫০ টি ইউনিট। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে বঙ্গবাজারের এনেক্স মার্কেটের পাশের টিনশেড মার্কেটটিতে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। 
এরই মধ্যে সেখানে পৌঁছেছে সেনাবাহিনীর একটি সম্মিলিত সাহায্যকারী দল। এর আগে যোগ দেয় বিমান বাহিনীর ফায়ার সার্ভিস।
আগুন লাগার খবর পেয়ে বঙ্গমার্কেটের দোকানদাররা ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছে। যে যার মতো দোকান থেকে যতটুকু সম্ভব কাপড় বের করা যায় সে চেষ্টা করছে। তবে আগুনের তীব্রতার কারণে আশপাশে যাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অনেক দোকানদার।
এর মধ্যে একজন দোকানদার মোঃ রাজীব দেওয়ান। তার বাড়ি বিক্রমপুরে। সেখান থেকে সকালে দোকানের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথিমধ্যে জানতে পারেন বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুনের ঘটনার কথা।

এসময় তিনি স্ত্রীকে আগুন লাগার ঘটনা ফোনে জানান। তারপর থেকেই তার ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে। রাজীবের কোন খোঁজ না পেয়ে তার স্ত্রী এবং মা বঙ্গবাজার মার্কেটে এসে খুঁজতে শুরু করেন। নিখোঁজ মোঃ রাজীব দেওয় 

রাজীবের স্ত্রী এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমার স্বামীর নাম মো. রাজীব দেওয়ান। বঙ্গবাজার মার্কেটেই তার দোকান। আজ সকাল ৭টা ২৫ মিনিটেও কথা হয়েছে আমার সঙ্গে। মোবাইলে ফোন দিয়ে আমাকে জানায় মার্কেটে আগুন লাগার কথা। বাসার সবাইকে জানাতেও বলে সে।

সে কোথায় আছে জিজ্ঞেস করলে জানায়, আমি বাবুবাজার ব্রিজের নিচে আছি, সেখান থেকেই জানতে পারলাম, সব শেষ। আমি সেখানে যেতে না করায় বলে, না আমি যাই, দেখি। তারপর থেকেই ফোনে তাকে আর পাচ্ছি না। ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে। 
রাজীবের মা আহাজারি করে বলেন, আমার ছেলেকে তো পাচ্ছি না। তার নিজের দোকান রয়েছে। আমাদের বাসা বিক্রমপুরে, সেখান থেকেই সকালে সে এখানে আসে। বঙ্গবাজারের নিচ তলায় আদর্শ মার্কেটের এক নম্বর গলিতে দেওয়ান গার্মেন্টস নামে তার দোকান ছিল। 

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বঙ্গবাজার মার্কেটের দোতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে এ ধরনের দুর্ঘটনা তাদের পথে নামিয়ে দিয়েছে। মাত্রই ঈদের বাজার শুরু হয়েছিল।

ঠিক সেই মুহূর্তে এ ধরনের আগুন ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে এই ঈদ মৌসুমে ব্যবসা করবে বলে। কিন্তু আগুন সব শেষ করে দিল। 

Facebook
Twitter
LinkedIn