দেশব্যাপী চাঞ্চল্যকর ককটেল বিস্ফোরণের পর গুলি করে রাজবাড়ীর
ছাত্রলীগ নেতা সবুজ শেখের হত্যা মামলার অন্যতম
প্রধান দুই আসামি গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮, সিপিসি ২,র্যাব
(ফরিদপুর)
১। র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ,
জঙ্গি,ধর্ষণকারী ও অজ্ঞান পার্টিদের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশ
আমার অহংকার স্লোগানে এই সমস্ত কর্মকান্ড দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে
ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
২। নিহত ব্যক্তি রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাটের উড়াকান্দার সামছুল আলম বাবুর ছেলে শেখ
সবুজ (২৮)। তিনি বরাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া সবুজ বরাট
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিনের ভাতিজা। আহত ব্যক্তির নাম সজিব
(২৭)।
৩। ইং২৩/০৪/২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ২২২০ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারীর
চলাচলের শব্দ পাইয়া ভিকটিম তার বসত ঘরের মেঝেতে বসা অবস্থায় হাটুর উপর ভর করিয়া
একটু উচু হইয়া কে কে বলে ডাক দেয়া মাত্রই অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারীরা ককটেল বিষ্ফোরণ
ঘটায় এবং ভিকটিমের বসতঘরের জানালা দিয়া হত্যার উদেশ্য এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষন করতে
থাকে। অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারীদের ছোড়া গুলিতে ভিকটিমের বাম চোখসহ বাম চোখের
চারিপাশে এবং কপালে গুলি লাগিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয় এবং প্রচুর রক্তপাতের ফলে তার মৃত্যু
হয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটা হত্যা মামলা
দায়ের করে। পরবর্তীতে পুলিশ দুইজন সন্দেহজনক আসামী গোলাম মোস্তফা এবং
আজিজুল ইসলাম@যুবরাজ কে গ্রেফতার করে। পুলিশের গ্রেফতার করা উক্ত আসামীদের ১৬৪ এ
দেওয়া জবানবন্দীর ভিত্তিতে র্যাব -৮ ফরিদপুর ক্যাম্প র্যাবের গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায়
গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। র্যাব-৮, ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম
শাইখ আকতার এবং সিনিঃ এএসপি মোঃ নাজমুল হকের নেতৃত্বে ০১ মে ২০২৩ইং তারিখে
রাত ০৩:০০ ঘটিকায় রাজবাড়ী জেলার রাজবাড়ী সদর থানার কাছুন্দি এবং মাটিখোলা
গ্রামস্থ এলাকা থেকে ছাত্রলীগ নেতা সবুজ শেখের ক্লুলেস হত্যা মামলার অজ্ঞাতনামা দুই
সদস্যকে বিশেষ অভিযান পরিচালনায় গ্রেফতার করে। উক্ত ঘটনার গ্রেফতারকৃত আসামী ০১।
মোঃ হালিম মোল্লা (৩০), পিতা-মোঃ সামু মোল্লা, সাং-কাছুন্দি, থানা-রাজবাড়ী সদর,
জেলা-রাজবাড়ী এবং আসামী ০২। মোঃ বক্কার মোল্লা (৩৫), পিতা- মোঃ মহন মোল্লা, সাং-
মাটিখোলা, থানা-রাজবাড়ী সদর, জেলা-রাজবাড়ীদ্বয়ের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। র্যাব-৮
এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মাহমুদুল হাসান, পিবিজিএম, পিএসসি, মহোদয়ের সার্বিক
তত্বাবধানে র্যাবের গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় অপারেশনাল কার্যক্রমটি পরিচালনা করা
হয়। পরবর্তীতে উক্ত আসামিদের রাজবাড়ী জেলার রাজবাড়ী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
৪। আটককৃত আসামী ০১। মোঃ হালিম মোল্লা এবং আসামী ০২। মোঃ বক্কার মোল্লাকে
ক্লুলেস হত্যা মামলায় রাজবাড়ী জেলার রাজবাড়ী সদর থানার মামলা-৫৩/১৯৭, তারিখঃ
২৫/০৪/২০২৩ ইং ধারা- ৩০২/৩২৬/৩০৭/৩৪ পেনাল কোড মূলে রাজবাড়ী জেলা থানায় হস্তান্তর করা হয়।