২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১২:৩৪
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১২:৩৪

পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রও বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে

কয়লার অভাবে রামপালের পর পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রও বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। বর্তমানে যে পরিমাণ কয়লা মজুদ রয়েছে তা দিয়ে দুই সপ্তাহ উৎপাদন চলবে বলে জানিয়েছে পায়রা তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কয়লা সরবরাহের বিল বাবদ এই বিদ্যুত কেন্দ্রের কাছে ২৯ কোটি মার্কিন ডলার পাবে চীনা কোম্পানি-চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন-সিএমসি। বকেয়া পরিশোধ না করলে আর কয়লা দিবে না সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। 

পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিটে উৎপাদন চালু রাখতে দৈনিক ১২ হাজার টন কয়লা লাগে। বর্তমানে যে পরিমাণ কয়লা মজুদ আছে তা দিয়ে কেন্দ্রটি ১০ দিনের বেশি চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বিদ্যুত কেন্দ্রের কর্মকর্তারা। 

বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ মালিকানার পায়রা বিদ্যুত কেন্দ্রে কয়লা সরবরাক করে চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন-সিএমসি।

বিদ্যুত কেন্দ্রটি চালানোর জন্য ছয় মাসের বাকিতে অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে চীন থেকে ঋণ নিয়ে কয়লা কিনছে- সিএমসি। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত কয়লা আমদানি বাবদ ২৯৩ মিলিয়ন ডলার বিল বকেয়া পড়েছে। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৩ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করায় সিএমসির ওপর কয়লা আমদানির নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীনের বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদুল আলম।

তিনি বলেন, বকেয়া পরিশোধ করা না হলে সিএমসি আর অর্থ দেবে না। কয়লা সরবরাহ বন্ধ হলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু রাখা যাবে না। 

কয়লা আমদানিতে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার অভাব ও ভুল নীতির কারণে তাপবিদ্যুত কেন্দ্রে উৎপাদনে হোচট খাচ্ছে বলে জানান জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম।

কয়লা সংকটে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেলে সারাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ। 

Facebook
Twitter
LinkedIn