২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৬:৩৪
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৬:৩৪

ডেঙ্গি নিয়ে সতর্ক হতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, বাংলাদেশে কিছু দিন ধরে আবারো ডেঙ্গি সংক্রমণের প্রভাব বাড়ছে। তাই ডেঙ্গি সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে হলে সবাইকে সজাগ হতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।

রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে রোববার দুপুরে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গি থেকে বাঁচতে মশার কামড় থেকে মুক্ত থাকতে হবে। এ জন্য আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে বাসা বাড়ির ছাদ, আঙিনায় পানি জমে না থাকে

জাহিদ মালেক বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় বিশ্বজুড়ে এবারো টিকাদান সপ্তাহ পালিত হয়েছে। আমরা প্রতি বছর সাড়ে দুই কোটি শিশুকে টিকা দিয়ে থাকি, সব মিলিয়ে প্রায় ১০টিরও বেশি অসুখের টিকা দেওয়া হয়ে থাকে। এই প্রোগ্রামের জন্য ১ লাখ ২০ হাজার সেন্টার করে থাকি। এ ছাড়া আমরা ১৫ থেকে ৪৯ বছরের নারীদের টিকা দিয়ে থাকি। তাদেরও ১০ রকমের রোগের টিকা দেওয়া হয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের মানুষ টিকার প্রতি আগ্রহী, তারা খুবই আনন্দের সঙ্গে টিকা নেয়। আমাদের মায়েরা শিশুদের টিকা দিতে আগ্রহী। তারাই আমাদের টিকাদানে সফলতার পেছনের বড় কারণ হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছাও বড় কারণ। এই কার্যক্রমে বিরাট একটা লজিস্টিক সাপোর্ট লাগে, যা সরকার দেয়। টিকাদানের সময়ে অন্যান্য কাজকর্মও আমরা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, বর্তমানে ৯৫ শতাংশ শিশু টিকার আওতায় এসেছে, অথচ ২০০১ সালেও ছিল ৫২ শতাংশ। নারীদের মধ্যে টিকার হার ৮০ শতাংশ। টিকায় আমাদের অনেক সফলতা আছে, সফলতার স্বীকৃতি পেয়েছি অনেক। বড় স্বীকৃতি হলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। এই টিকার কারণেই আমরা এসডিজি অর্জন করেছি। টিকার কারণে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে। টিকা এখানে বড় অবদান রেখেছে। আমাদের গড় আয়ু ৭৩, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়েও ৫০ ছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মুহাম্মদ খুরশীদ আলম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. বরদান জুং রানা প্রমুখ।

Facebook
Twitter
LinkedIn