২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১০:২৪
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১০:২৪

ঝুঁকিতে ৮ লাখ রোহিঙ্গা

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারে আশ্রয়শিবিরে থাকা সাড়ে আট লাখ রোহিঙ্গা এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা ঝুঁকিতে রয়েছেন। দ্য ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) এ তথ্য জানিয়েছে। ঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার সময় ওই ক্ষতি হতে পারে বলে জানায় সংস্থাটি।

আইআরসি বলছে, তীব্র বাতাস, অতিবৃষ্টি ও হঠাৎ বন্যায় সেখানে অনেক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।তারা আশ্রয়কেন্দ্র এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কাও করছে সংস্থাটি।

আইআরসি বলছে, এর আগে গত মার্চে শিবিরে আগুন লেগে ২ হাজার ৬০০ ঘর বা শেল্টার এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ে আশ্রয়শিবিরের ঘরবাড়ি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এতে রোহিঙ্গাদের জরুরি স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সেবা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। রোহিঙ্গারা ছাড়াও টেকনাফ, কুতুপালং, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হতে পারে।

প্রস্তুতি হিসেবে রোহিঙ্গা শিবিরে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবককে বন্যা, পাহাড় ধস মোকাবিলার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আইআরসি থেকে সেখানকার দুর্গম এলাকাগুলোতে চিকিৎসাসেবা দিতে তিনটি ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। সেখানকার নারী ও শিশুসহ বেশি বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর জন্য জরুরি সেবা দিতে ভ্রাম্যমাণ ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ ঘূর্ণিঝড় মোখা সম্পর্কে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের ৩০ লাখ ও বাংলাদেশের ৭ লাখ ৮৪ হাজার ৫৪০ জন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।  

Facebook
Twitter
LinkedIn