২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ২:০৫
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ২:০৫

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে আতঙ্কিত ঝালকাঠির নদী পাড়ের মানুষজন

মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরো:

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ঝালকাঠির নদী পাড়ে বসবাসরত হাজার হাজার সাধারণ মানুষ|ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ঝালকাঠিতে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে।

আজ শনিবার(১৩ মে)শনিবার সকাল থেকেই আকাশ ছেয়ে আছে কালো মেঘে।জেলার সুগন্ধা,বিশখালি,হলতাসহ নদ-নদী গুলো ভয়ানক রূপ ধারণ করেছে।এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষজন।

দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুতি নিয়েছে।প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে ৬১ টি সাইক্লোন শেল্টারসহ দুই শতাধিক স্কুল কলেজ।মাইকিং করে উপকূলের মানুষকে নিরাপদে থাকার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে।

ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার দুপুরে তৃতীয় দফায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম।

সভায় জানানো হয়,ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।৬১ টি সাইক্লোন শেল্টার ও ৩৬৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও প্রতিটি দপ্তরে আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

জেলার ৩২টি ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।ঝড়-জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলায় প্রতিটি দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক। ঝড় শুরু হওয়ার আগেই নদী তীরের মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে।

জেলার আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে ৮০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।পাশাপাশি গবাদি পশু রাখার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আশ্রয় নেওয়া মানুষের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম।

Facebook
Twitter
LinkedIn