সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ নির্বাসন জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ই মে বৃষ্টিমুখর দিনে দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বিদেশে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের বিশেষ কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। দেশে ফিরে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে আসেন দীর্ঘ ২১ বছর পর। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষকরা বলছেন, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের আজকের মর্যাদার আসন শুধুমাত্র শেখ হাসিনা দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয়। এসময়দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেনা সমর্থিত স্বৈরশ্বাসক রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করায় রুদ্ধ হয়ে পড়ে দেশের গণতন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার দেশে ফেরার পথও বন্ধ হয়ে যায়। তবে, নির্বাসনে থাকা অবস্থায়ই শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বৈশ্বিক নানা চাপে তখনকার সরকার শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরার অনুমতি দেয়।
প্রায় ৬ বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ই মে কলকাতা থেকে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। ভারি বর্ষণ উপেক্ষা করে সেই দিন শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ঢাকার বিমান বন্দর থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ পর্যন্ত লাখো জনতার সমাবেশ ঘটে।
দেশে ফিরে শেখ হাসিনা দলকে সংগঠিত করার কাজে হাত দেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে দলীয় নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করেন। দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে দলকে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে আসেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবদুল মান্নান এবং আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফেরায় গণমানুষ তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছে, আর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। তারা বলেন, দেশের অগ্রযাত্রা ও বিশ্বে সম্মানজনক অবস্থান শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রয়োজন বলে মত দেন তারা।