ঢাকার দোহারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ‘কালা পাহাড়’ নামের বিশাল একটি গরু। উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম শিলাকোঠা গ্রামের নিজ বাড়িতে ‘কালা পাহাড়’ দেখাশোনা করছেন জলিল বেপারী ও তার ছেলে সৌদি প্রবাসী মো. সেলিম । ইতোমধ্যেই ৫০ মণ ওজনের কালা পাহাড়কে দেখতে দোহার-নবাবগঞ্জের সৌখিন ও বিত্তবান মানুষেরা তার বাড়িতে ভিড় করছে। এলাকার মানুষের মাঝে এক বাড়তি আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।
কুচকুচে কালো রঙের আমেরিকান ব্রাহমা জাতের ৬০ মাস বয়সী ষাঁড়টিকে ভালবেসে নাম রেখেছেন ‘কালা পাহাড়’। ১১ ফুট দৈর্ঘ্য আর ৭ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার কালা পাহাড়কে বিক্রির জন্য দাম হাঁকাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা।
কালা পাহাড়ের মালিক জলিল বেপারী জানান, ‘কালা পাহাড়কে পরম যত্নে ৫টি বছর লালন পালন করেছি। প্রতিদিন গরুটির খাবারের জন্য খরচ হচ্ছে ১২/১৩’শ টাকা। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রয়েছে নিজের জমিতে চাষ করা সবুজ ঘাস। এ ছাড়া সরিষার খৈল, গম, ভুট্টা, ছোলা, পায়রা, খড়সহ সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার। পরিবারের সকলে কালা পাহাড়ের সেবাযত্ন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এ ছাড়া কালা পাহাড়কে লালন পালনের ক্ষেত্রে উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর আমাকে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করেছেন।
জলিল বেপারীর ছেলে সৌদি প্রবাসী মো. সেলিম বলেন, ‘ কালা পাহাড়কে’ বিক্রি করতে সম্প্রতি সৌদি থেকে বাড়িতে এসেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে অথবা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় যদি কালা পাহাড়কে বিক্রয় করতে পারে তাতেই তার শান্তি।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ হোসেন ও শুকুর আলী বলেন, ‘কালা পাহাড় নামের গরুটির মালিক জলিল বেপারী গরুটিকে সন্তান স্নেহে দীর্ঘদিন ধরে লালন-পালন করে আসছে। গরুটিকে দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। এ দৃশ্য দেখতে এলাকাবাসী হিসেবে আমাদেরও ভালো লাগছে। তাই বিত্তশালীদের প্রতি আমাদের আবেদন তারা যেনো ন্যায্য মূল্য দিয়ে গরুটিকে কিনে নেয়।’
দোহার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শামীম হোসেন জানান, ‘১১ ফুট দৈর্ঘ্য আর ৭ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার কালা পাহাড়কে ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে লাভবান হবেন খামারি। আমরা নিয়মিত খামারির বাড়ি আসছি ও খামারিকে পরামর্শ দিচ্ছি’।