২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১০:১৮
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১০:১৮

কারো খবরদারির কাছে নতজানু হব না : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীন সার্বভৌম দেশ আমাদের, স্বাধীন জাতি আমরা। যুদ্ধে বিজয় অর্জন করে আমরা আমাদের দেশ পেয়েছি। কারো খবরদারির কাছে নতজানু হব না। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। 

রোববার (১৮ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি যখন ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করি তখন মাত্র এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল। সেটা বাড়িয়েছিলাম ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেটাকে ৩ হাজার ৯০০ মেগাওয়াটে কমিয়ে আনে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আমাদের লক্ষ্য ছিল প্রত্যেক ঘরে ঘরে আলো জ্বলবে। আমরা সেটা করতে সক্ষম হয়েছি। 

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি আমরা। যা শুধু আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগেনি, করোনাকালীন সময়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের ডিজিটাল সিস্টেম কাজে লেগেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান, দেশি-বিদেশি চক্রান্ত, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা অনেক বেশি জরুরি তা আমি জানি। তাছাড়া প্রযুক্তি ব্যবহারে স্বপ্ন দুয়ার খুলে দিয়েছে, সেই সাথে অনেক শঙ্কাও সৃষ্টি হয়েছে। আমি মনে করি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ধারণা পাল্টে যাচ্ছে। প্রযুক্তি এক ধরনের কার্যক্রমের আশঙ্কা বা নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদেরকে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের এসএসএফ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিদেশি কোনো অতিথি যখন আসে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সময় আমরা যেসব অনুষ্ঠান করেছি সেই সময় একই সাথে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান আমাদের দেশে এসেছেন। তাদের নিরাপত্তা প্রদানে যথেষ্ট দক্ষতা পরিচয় দিয়েছেন। তাদেরকে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য আমরা যখন এসএসএফকে কাজে লাগিয়েছি, প্রত্যেকে প্রশংসা করেছেন। গর্বে আমার বুক ভরে গেছে।

সরকারপ্রধান বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করাই সরকারের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ যেন বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলতে পারে সরকার সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীকে যুগোপযোগী করে তোলা হচ্ছে।

দুর্নীতি করতে নয় দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি এমন মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমার পূর্বে যারা ক্ষমতায় ছিল (বিএনপি) বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতির কারণে তখনো বিশ্ব ব্যাংক তাদের অর্থ ফিরিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু তখনকার সরকারের সাহস ছিল না যে তাদের প্রতিবাদ করে, কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় তারা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে যখন আমাদের ওপর দোষারোপ করল আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম। কারণ আমার কোনো দুর্বলতা ছিল না। আগের সরকার পারেনি কারণ তাদের দুর্বলতা ছিল। তারা সত্যিই দুর্নীতি করেছিল। আমরা দুর্নীতি করতে আসিনি, মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি।

সরকারপ্রধান বলেন, পদ্মা সেতু করার একটা ঘটনাই আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন হয়েছে। আগে যেমন প্রতিটি ক্ষেত্রে শুধু শর্ত আর শর্ত আর নানা কথা, এখন আর সেটা করতে কেউ সাহস পায় না। বাংলাদেশকে এখন সকলেই সমীহের চোখে দেখে। আমি মনে করি, এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn